Advertisement
২০ মে ২০২৪
COVID-19

Covid-19: আবার প্রস্তুতি বেসরকারি হাসপাতালে

আবারও প্রভাব ফেলতে পারে করোনা। সেই আশঙ্কা থেকেই কোথাও করোনা ওয়ার্ড পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। কোথাও কিছু শয্যা কমানো হয়েছিল।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২২ ০৫:১৬
Share: Save:

আবারও প্রভাব ফেলতে পারে করোনা। সেই আশঙ্কা থেকেই কোথাও করোনা ওয়ার্ড পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। কোথাও কিছু শয্যা কমানো হয়েছিল। কিন্তু ফের ধীরে হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি আস্তে আস্তে বাড়তে থাকায় শয্যা বৃদ্ধির প্রস্তুতি সেরে রাখছে শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলি। একই ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারও।

যদিও বেসরকারি হাসপাতালের শয্যা নেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি রাজ্য। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীর কথায়, ‘‘জেলা স্তরের প্রতিটি হাসপাতালে অন্তত ৫০টি করে শয্যা করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।’’ শহরে বেলেঘাটা আইডি এবং এম আর বাঙুর এখন করোনার চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট। এই মুহূর্তে আইডি হাসপাতালে ২০০টি এবং এম আর বাঙুরে ৭০টি শয্যা রয়েছে। বেলেঘাটার ওই হাসপাতালে বাকি ২১০টি শয্যা কোন বিভাগে কী ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, তার রিপোর্টও স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে গত ১৮ জুন রাজ্যে ভর্তির সংখ্যা ছিল ৪১। ২৪ জুন ভর্তি হয়েছেন ১১১ জন। আইডি হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ আশিস মান্না জানাচ্ছেন, আক্রান্তদের বেশির ভাগই পেশাগত কারণে বাইরে বেরোনো লোকজন এবং প্রথম সারির করোনা-যোদ্ধা।

গত মার্চের শেষে পিয়ারলেস হাসপাতাল থেকে এক জন রোগী ছুটি পাওয়ার পরে আর কেউ ভর্তি হননি। কিন্তু দিন পাঁচেক আগে থেকে ফের রোগী ভর্তি শুরু হয়ে এখন সেই সংখ্যা ১৭, জানাচ্ছেন হাসপাতালের কর্তা, চিকিৎসক সুদীপ্ত মিত্র। সেখানে আপাতত শয্যা রয়েছে ৪০টি। ফর্টিস হাসপাতালের আঞ্চলিক অধিকর্তা প্রত্যুষ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার-সহ ৩০টি শয্যা চালু রয়েছে। তার মধ্যে দু’জন সিসিইউয়ে এবং আট জন সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি।’’

আমরি গোষ্ঠীর তিনটি হাসপাতাল মিলিয়ে ২০টি শয্যার মধ্যে ১৪টি ভর্তি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরও ৪০টি শয্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি সম্পূর্ণ বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। সল্টলেকের মণিপাল হাসপাতালে আইসিইউ-সহ ছ’টি শয্যা রয়েছে। মেডিকায় রয়েছে ১১টি শয্যা। কোভিড ওয়ার্ড পুরো বন্ধ করা হয়নি বলে জানাচ্ছেন অ্যাপোলো হাসপাতাল গোষ্ঠীর পূর্বাঞ্চলের সিইও রানা দাশগুপ্ত। তাঁর কথায়, ‘‘অন্য অসুখ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের পরে করোনা ধরা পড়ার সংখ্যা এখন বেশি।’’ উডল্যান্ডসের সিইও রূপালী বসু জানাচ্ছেন, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাত জন। তাঁর কথায়, ‘‘ছোট একটা ঢেউ শুরু হলেও অক্সিজেন লাগছে কম। তবে আমরা সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 Kolkata private hospitals
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE