Advertisement
E-Paper

কোভিড পজ়িটিভ ছাত্র-শিক্ষক, দুই স্কুলে পরীক্ষা অনলাইনেই

দশম শ্রেণির এক ছাত্রের করোনা ধরা পড়েছে বলে রবিবার জানান লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ স্কুল কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২১ ০৬:৩৬
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র। ফাইল চিত্র।

এগারো মাস পরে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে আংশিক স্কুল। কিন্তু প্রথমে কসবা, তার পরে সোদপুর, ব্যারাকপুর, কল্যাণী এলাকার কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক করোনা সংক্রমিত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ওই সব স্কুলের পঠনপাঠন। এ বার ফের স্কুলের চৌহদ্দিতে করোনা সংক্রমণের ভ্রুকুটি। সংক্রমিত কলকাতার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া এবং শহরেরই অন্য স্কুলের এক শিক্ষক।

তাঁদের দশম শ্রেণির এক ছাত্রের করোনা ধরা পড়েছে বলে রবিবার জানান লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। লা মার্টিনিয়ার স্কুলের সচিব সুপ্রিয় ধর বলেন, ‘‘লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ সোমবার থেকে সাত দিন বন্ধ থাকবে। স্কুলের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষা হবে অনলাইনে।’’

স্কুল সূত্রের খবর, ওই ছাত্র দশম শ্রেণির প্রি-টেস্ট দিচ্ছিল। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে তার জ্বর আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। ওই ছাত্রের মা-বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেই খবর দেন। এ দিনই প্রিন্সিপাল জন রফি
আজ, সোমবার থেকে সাত দিন স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নোটিস দিয়ে জানান।

অন্য দিকে, সেন্ট লরেন্স হাইস্কুলের এক শিক্ষকেরও করোনা ধরা পড়ার খবর জানিয়েছেন ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রিন্সিপাল সেবাস্টিয়ান জেমস বলেন, ‘‘ওই শিক্ষক স্কুলে এসে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছিলেন। তা সত্ত্বেও আমরা আগামী দশ দিন স্কুল বন্ধ রাখছি। সব পরীক্ষা অনলাইনে হবে।’’

লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ স্কুল কর্তৃপক্ষও তাঁদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রি-টেস্ট শুধু অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লস অনলাইন ও অফলাইন, দুই পদ্ধতিতে পরীক্ষা চালু রাখবে। সুপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘দু’টি স্কুলের আলাদা ক্যাম্পাস। ওই স্কুল যেমন চলছে তেমনই চলবে।’’ সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুল প্রতিদিন স্যানিটাইজ় করা হয়। পড়ুয়াদের দূরত্ব-বিধি মেনে পরীক্ষা দিতে বসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তাঁদের মতে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। স্কুলের শিক্ষকেরাও বাড়ি থেকে কাজ করবেন।

সুপ্রিয়বাবুর কথায়, ‘‘শুধু স্কুল সচেতন হলেই হবে না। মানুষকেও হতে হবে। কিন্তু সর্বত্র মানুষ যে ভাবে করোনা সর্তকতা উপেক্ষা করে ঘুরছেন, সেটা সত্যিই আতঙ্কের। এখনও মাস্ক না পরে ঘুরছেন অনেকেই।’’

১২ ফেব্রুয়ারি যখন রাজ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খুলেছিল, তখন বেশির ভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা হবে অফলাইনে, অর্থাৎ স্কুলে গিয়ে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অনেক অভিভাবক শুধু অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। যদিও এক অভিভাবক বলেন, ‘‘বোর্ডের পরীক্ষা তো অফলাইনে হবে। পরীক্ষার্থীরা প্রি-টেস্ট অফলাইনে দিলেই ভাল হত। কিন্তু যে ভাবে করোনা বাড়ছে, তাতে অফলাইনে কী ভাবে ওরা প্রি-টেস্ট দেবে সেই নিয়ে এ বার দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’’

বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষক এবং একটি স্কুলের এক ছাত্রের সংক্রমিত হওয়ার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার বলেন, ‘‘স্কুলগুলিকে করোনা-বিধি মেনে চলার কথা বলেছি। পড়ুয়াদের ধাপে ধাপে আনতে হবে। সংক্রমিত শিক্ষক বা পড়ুয়ার সংস্পর্শে আসা সকলের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।’’

COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy