Advertisement
E-Paper

ছাড়া গরু রুখবে তবে কে

ঘড়ির কাঁটায় সকাল দশটা ছুঁই ছুঁই। সিএ আইল্যান্ড মোড়ে তখন বেশ যানজট। সিগন্যাল খোলা মাত্রই গতি বাড়িয়েছেন চালকেরা। কিছু দূর যেতেই আচমকা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল গাড়িগুলি।

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৭ ০০:০৯

ঘড়ির কাঁটায় সকাল দশটা ছুঁই ছুঁই। সিএ আইল্যান্ড মোড়ে তখন বেশ যানজট। সিগন্যাল খোলা মাত্রই গতি বাড়িয়েছেন চালকেরা। কিছু দূর যেতেই আচমকা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল গাড়িগুলি। কারণ রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে গোটা দশেক গরু।

সেখানে রাস্তার ধারে রাখা রয়েছে খাবার। তারই সন্ধানেই হাজির গরুর পাল। অনেকে আবার গাড়ি থামিয়ে গরুকে খাবার খাওয়ান। ডিভাইডারের ঘাস খেতেও আসথে গরুর দল। সকাল-সন্ধ্যায় গরু, কুকুর গতির গাড়ির সামনে পড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও ঘটছে। তবে সল্টলেকের তুলনায় রাজারহাট-নিউ টাউনে এই সমস্যা বেশি বলে জানাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।

অথচ এই সমস্যার সমাধানে কোনও সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি হয়নি বলে মানছে প্রশাসনও। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রশাসন রাস্তা থেকে পশুদের সরানো এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত পশুকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকে। তবে তা পর্যাপ্ত নয় বলেই অভিযোগ। প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, রাস্তা থেকে সরিয়ে গরু রাখার জায়গা তাদের নেই। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অন্যতম কর্ণধার প্রণয় দত্ত বলেন, ‘‘চার বছর ধরে আহত পশুপাখির চিকিৎসার কাজ করছে আমাদের সংগঠন। গরুর মালিকদের সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।’’

এ বার প্রশ্ন উঠেছে, কারা করবে সেই কাজ? বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘আমাদের নিজস্ব কোনও পরিকাঠামো নেই। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করা হয়।’’

পুলিশের এক কর্তা জানান, গরু রাস্তায় চলে আসায় সমস্যা অবশ্যই হচ্ছে। সল্টলেকের তুলনায় সমস্যাটা নিউ টাউনে বেশি। দুর্ঘটনাও ঘটছে এর জেরে। কী ভাবে সমস্যা দূর করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে।

Cows New Town
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy