পুজোর ছুটি শেষ হওয়ার পর বুধবার খুলল রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিস এবং অধিকাংশ স্কুল। ফলে রাস্তায় চাপ বাড়বে আশঙ্কা করেই মঙ্গলবার রাতেই ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকদের সতর্ক করেছিলেন অতিরিক্ত নগরপাল। এ দিন সকালে সে কথাই ফের এক বার মনে করিয়ে দেন নগরপাল অনুজ শর্মা নিজে। তার পরেও টালা ব্রিজ বন্ধের জেরে উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যানজট সামলে পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখতে হিমশিম খেল কলকাতা ট্রাফিক।
গত ৯ অক্টোবর মুম্বইয়ের সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না টালা সেতু নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, ওই সেতুর একটা বড় অংশই (মূলত রেল লাইনের উপরে থাকা অংশ) ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ সেতু বন্ধ থাকবে আরও বেশ কয়েক মাস। এর পরেই পরিবহণ দফতর এবং কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ ফের চেষ্টা করে বিকল্প পথ তৈরির। কিন্তু, পরিবহণ দফতরের আধিকারিক থেকে শুরু করে কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক সন্তোষ পান্ডে নিজে একাধিক বার টালা সেতু এবং আশপাশের এলাকা ঘুরে এসে বিকল্প রাস্তা পেতে ব্যর্থ হন। কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘আমরা বিকল্প হিসাবে বেইলি ব্রিজের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু এখনও উপযুক্ত জায়গা পাইনি, যেখানে বেইলি ব্রিজ তৈরি করা যায়।”
লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ছুটির কারণে রাস্তায় চাপ কম ছিল। ফলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে মোটামুটি মসৃণ ভাবেই যান চলাচল করেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হয় লক্ষ্মীপুজোর পরের দিন অর্থাৎ গত সোমবার। ওই দিন অফিসের ব্যস্ত সময় চিড়িয়া মোড় থেকে পাইকপাড়া মোড় পর্যন্ত ব্যাপক যানজট শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, টালা সেতুর বর্তমান যা অবস্থা তাতে যে বিপুল সংখ্যক ছোট গাড়িও সেতু পেরোচ্ছে তা-ও বিপজ্জনক। তাই গাড়ির চাপ কমাতে পাইকপাড়া মোড়ে বিটি রোডের শ্যামবাজার অভিমুখের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করে ছোট গাড়ির চাপও কম রাখা শুরু করেছে পুলিশ।