Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Bihar

Bihar: মদ ফিরুক বিহারে, নীতীশের সরকারকে সমর্থন দিলেও চাপে রাখতে চায় লিবারেশন

বিহারে ১২ জন বিধায়ক রয়েছে লিবারেশনের। মন্ত্রিসভায় না গেলেও আগেই নতুন সরকারে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে দল।

নীতীশ সরকারকে সমর্থন দিলেও মন্ত্রিসভায় যেতে চান না দীপঙ্কররা।

নীতীশ সরকারকে সমর্থন দিলেও মন্ত্রিসভায় যেতে চান না দীপঙ্কররা। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২২ ১৯:২৪
Share: Save:

বিহারে নীতীশ কুমারের নতুন সরকারকে সমর্থন দিয়েছে সিপিআইএমএল (লিবারেশন)। সরকারে না গেলেও বাইরে থেকে সমর্থন দিয়ে ‘মহাগঠবন্ধন’-এ রয়েছে ১৪ বিধায়কের লিবারেশন। সরকারকে সমর্থন দিলেও বিভিন্ন নীতিগত বিষয়ে সরকারের উপরে চাপও বজায় রাখতে চায় এই বামপন্থী দল। কর্মসংস্থান বা কৃষকের স্বার্থ রক্ষার দাবিদাওয়ার পাশাপাশি রাজ্যে মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়েও চাপ দিতে চায় দল। বুধবার কলকাতায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিহারে যে লক্ষ্য নিয়ে মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। ধনীদের বাড়িতে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মদ পৌঁছে যায় আর গরিব মানুষ বিষমদ পান করে মারা যায়। আমরা চাই এই আইনের পুনর্মূল্যায়ন হোক।’’

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে লালুপ্রসাদের দল আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে সরকারে আসার পরেই রাজ্যে ‘দ্য বিহার প্রোহিবিশন অ্যান্ড এক্সাইজ অ্যাক্ট’ চালু হয়। সেই থেকেই মদ্যপান নিষিদ্ধ বিহারে। তবে কি বিহারে ফের মদ্যপান আইনসিদ্ধ করার পক্ষে লিবারেশন? দীপঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা চাই কঠোর আইন হোক। সেই আইনের মধ্যে মদ চালু হোক। কারণ, কারও মদ্যপানের ইচ্ছার বিরোধিতা করা যায় না। নিয়ম মেনে মদের ব্যবসা চলুক।’’

দলের ১২ জন বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও সরকারে কেন অংশগ্রহণ করল না লিবারেশেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দীপঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা সরকারের বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েই থাকতে চাই। তা বলে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে, কোনও দিনই আমরা সরকারে যাব না। সবটাই নির্ভর করছে স্থান, কাল, পাত্রের উপরে।’’ এই সরকারে তাঁদের কী ভূমিকা হবে তা বলতে গিয়ে দীপঙ্কর বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার ভূমি সংস্কার কমিশন, শিক্ষা কমিশন গঠনের মতো অনেক ভাল কাজ করেছে। সেগুলি যাতে কার্যকরী হয় সেটা চাইব আমরা। কর্মসংস্থান ও কৃষক স্বার্থে যাতে সরকার কাজ করে সেটা চাইব।’’ একই সঙ্গে দীপঙ্কর বলেন, ‘‘বিহারের এই পালাবদল শুধু ওই রাজ্যেই নয় জাতীয় রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলবে। বিজেপি দেশে যে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাইছে তাতে বড় আঘাত হেনেছে বিহার। বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া আটকে গিয়েছে।’’

বার বার সঙ্গী বদল করা নীতীশের উপরে কি সত্যিই ভরসা করা যায়? কিসের ভিত্তিতে সমর্থন দিল লিবারেশন? দীপঙ্কর বলেন, ‘‘সমর্থন আপেক্ষিক। আজকের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিজেপিকে রুখতেই এই পদক্ষেপ। আমার অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন ভাবব না। চাইব, নীতীশ জীবনের শেষ প্রান্তের যে উপলব্ধি তা মনে রাখবেন। নিজেকে প্রমাণ করবেন।’’ উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বড় মাপে জয় পাওয়ার পর থেকেই নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে বিজেপি তৎপর হয়েছিল বলেও দাবি করেন দীপঙ্কর।

বিহারে নতুন সরকারের সঙ্গে কেমন সম্পর্কে রেখে চলা হবে তা ঠিক করতে আগামী শনিবার পটনায় রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে লিবারেশনের। তবে দীপঙ্কর জানিয়েছেন, তাঁরা চাইবেন বৃহত্তর এই জোটের একটা কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম তৈরি করা হোক। সেটা মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য একটা মনিটরিং কমিটির তৈরিরও দাবি জানাবেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE