ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
সাইবার জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে নিউ টাউনের এক সংস্থা থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতদের নাম রিচা পিপলবা, বিক্রমজিৎ পান্ধার, আকাশ সিংহ, নীলেশ রাস্তোগি ও শুভ্রজিৎ পাল।
গত বছরের মার্চে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে হানা দিয়ে আন্তর্জাতিক সাইবার জালিয়াতি চক্র ফাঁস করেছিল সিআইডি। জানা যায়, এ শহরে বসে ইউরোপের একাধিক দেশের নাগরিকদের ঠকিয়ে কয়েকশো কোটি টাকা হাতিয়েছে প্রতারকেরা। নিউ টাউন থেকে ধৃতেরাও একই জালিয়াতিতে জড়িত। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, আগের জালিয়াতিতেও নিউ টাউনের এই সংস্থা জড়িত ছিল। তখন এদের ধরা যায়নি। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এ শহরে বসে বিদেশিদের ঠকানোর কাজ করা কয়েকটি সংস্থার খোঁজ চলছে।
সিআইডি জানায়, নিউ টাউনের সংস্থাটির প্রধান রিচা। গত বছর যে সংস্থায় হানা দেওয়া হয়েছিল তাদের সঙ্গে নিউ টাউনের এই সংস্থার আর্থিক লেনদেন ছিল। সিআইডি-র এক কর্তা জানান, ‘‘গত বছরে অভিযুক্ত সংস্থাটি বিদেশি নাগরিকদের থেকে টাকা নিয়ে এই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিত। হানার পরে নিউ টাউনের সংস্থাটি নাম পাল্টায়। শহরে অন্তত পাঁচটি অফিস খুলেছিল এরা।’’
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গত বছর মার্চে সাইবার জালিয়াতি চক্র ফাঁসের পরে রিচা গা ঢাকা দেয়। তার পরে তদন্ত এগোয়নি। সম্প্রতি ইন্টারপোল থেকে ফের চিঠি আসে। বলা হয়, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইডেনের মতো দেশের নাগরিকদের ফের এ শহরের কিছু সংস্থা ঠকাচ্ছে। চিঠি পাওয়ার পরে, সিআইডির সাইবার শাখার ওসি রাজর্ষি বন্দোপাধ্যায় ও অতিরিক্ত ওসি অতনু সাঁতরা একটি দল করে তদন্ত শুরু করেন। ছক কষে গত সপ্তাহে নিউ টাউনের সংস্থাটিতে হানা দেয় তারা।
গোয়েন্দারা জানান, গত বছরের মার্চে যাদের ধরা হয়েছিল তাদের এবং এ বারের ধৃতদের অপরাধের কায়দা এক। বিশ্বের প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নাম করে গ্রাহকদের ফোন করা হত। পরিবর্তে পরিষেবার বদলে কায়দা করে
টাকা হাতিয়ে নিত। সিআইডির এক কর্তার দাবি, ‘‘বিদেশিদের থেকে ইউরো বা ডলারে পেমেন্ট নেওয়া হতো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy