‘ফণী’র আশঙ্কায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা মেট্রো। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার তরফে সতর্কবার্তা পেয়ে মেট্রোর প্রতিটি বিভাগকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের দাপটে মেট্রো পরিষেবা কোথাও বিপর্যস্ত হলে পরিস্থিতি সামলাতে ২৪টি স্টেশনে এক জন করে আধিকারিককে ‘সুপারভাইজার’ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনও সমস্যা হলে তাঁরাই প্রধান ভূমিকা পালন করবেন।
কোথাও বিদ্যুৎ চলে গেলেও গোটা মেট্রো স্টেশন যাতে অন্ধকার না হয় এবং ‘পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম’ চালু থাকে, তা নিশ্চিত করতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেট্রো সূত্রের খবর, স্টেশনগুলিতে মজুত রাখা ব্যাটারিতে যাতে পর্যাপ্ত চার্জ থাকে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। মাটির উপর দিয়ে যাওয়া মেট্রোপথের উপরেও বাড়তি নজর রাখা হবে। মেট্রোয় ওভারহেড কেব্ল না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রেলের তুলনায় কম। তবু ঝড়ের জেরে গাছের ডাল বা বিদ্যুতের তার উড়ে এসে মেট্রো পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকবিলা করতে মেট্রোর ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ভাবছেন না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়ার দিকে নজর রাখছেন তাঁরা। কোনও ভাবে মেট্রোর লাইনে কিছু উড়ে এসে পড়লে অবশ্য পরিষেবা সাময়িক ভাবে ব্যাহত হতে পারে।
বছরখানেক আগে কালবৈশাখীর দাপটে দমদম স্টেশনের কাছে মেট্রোর লাইনে গাছের ডাল উড়ে এসে পড়ে। যার জেরে বেলগাছিয়া থেকে দমদমের মাঝে একটি এসি রেক আটকে যায়। পরে মেট্রোর আধিকারিকেরা গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি আটকাতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ চালক ও স্টেশন মাস্টারদের মধ্যে সমন্বয়ের উপরে জোর দিচ্ছেন। ঝড়ের মোকাবিলায় মেট্রো কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে আলোচনা করতে আজ, শুক্রবার সকালে পার্ক স্ট্রিটের মেট্রো ভবনে স্টেশন সুপারদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর চিফ অপারেশন্স ম্যানেজার সাত্যকি নাথ বলেন, ‘‘বিপর্যয় মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব রকম প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। পুরসভা ও প্রশাসনের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’