একটা হাত। সেই হাতে বানানো কাগজের নৌকা— ভাসানোর প্রস্তুতি চলছে। পরের সাতটি দৃশ্যে অগুনতি নৌকা হয়ে উঠেছে প্রতিবাদের সুর— ‘হম দেখেঙ্গে’। শাহীন বাগে মেয়েদের প্রতিরোধ হয়ে উঠেছে কমিক্সের উপজীব্য (উপরে প্রথম ছবিতে)। আবার অন্য কোনও পাতায় এই প্রজন্মের সুযোগ, জরুরি অবস্থার সময়টা ফিরে দেখার। বাঙালির চিরকালীন বাঁটুল দি গ্রেট, নন্টে-ফন্টে, হাঁদা-ভোদার স্মৃতি অতিক্রম করে আজকের কমিক্স হয়ে উঠছে সিরিয়াস সাহিত্য। একের পর এক প্যানেলে সাজানো স্কেচ, রং, সংলাপের এই রেখাপাত এখন কথা বলে ব্যক্তি ও সমষ্টির বহুমুখী সমস্যাগুলি নিয়ে। আজকের পৃথিবীতে রাষ্ট্রের চোখ-রাঙানি, স্থানচ্যুতি, উদ্বাস্তু সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথা বলে ‘দ্য ক্রাফট অব কমিক্স’— ছক-ভাঙা কমিক্স শিল্প, গ্রাফিক আর্ট, আর্ট ইনস্টলেশনের প্রদর্শনী। পিনাকী দে ও সুজান মুখোপাধ্যায়ের কিউরেশনে চলছে বিড়লা অ্যাকাডেমি অব আর্ট অ্যান্ড কালচার-এ; শুরু হয়েছে গত ৮ নভেম্বর, ‘কমিকস বিয়ন্ড প্যানেলস’ শীর্ষক আলোচনাও হয়ে গেল সঙ্গে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, নানা ভাষাভাষী শিল্পীর কাজের উপস্থাপনার পাশাপাশি বাংলার ছ’জন শিল্পীর কমিক্সের সম্ভারও নজর কাড়বে উৎসাহীদের। যাঁরা কমিক্স বলতেই বোঝেন লঘু সাহিত্যকৃতি, তাঁরা পাবেন চেনা সাহিত্য-পরিসরের বাইরে নতুন ভাষা ও ভাবনার খোরাক। ভারতের পারিবারিক কাঠামোয় নারীর বাঁধাধরা ভূমিকা, বা পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে আজকের নারীর মূল্যায়ন— ছবি ও শব্দের যুগলবন্দিতে উঠে এসেছে সমাজের বহুস্তরীয় বাস্তবতা। নিরীক্ষামূলক কাজের মাধ্যমে কার্বন ট্রেডিং-এর উপর আলোকপাত, আছে হিংসা ও যুদ্ধ-বিরোধী বার্তাও। অ্যাক্রিলিক, চারকোল, জলরঙের সমন্বয়ে পুরাণে শিব-পার্বতী, মহাকাব্যের ভীম-হিড়িম্বার দাম্পত্যের (উপরে ছবিতে) চেনা আখ্যান পেয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়া। কারও গল্পে ভবঘুরের হাঁটাচলার মধ্যে দিয়ে তার শহরের দৈনন্দিনতার সাক্ষী থাকি আমরা, কোথাও বা কাহিনির নায়কের অভিযানের সাক্ষী পাঠক ঘুরে আসেন পুরনো এক কেল্লা থেকে।
ধরা পড়েছে সমষ্টিগত স্মৃতি-বিস্মৃতির লুকোচুরিও। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর আছে, আছেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু: বিখ্যাত মুখগুলো হাজির হয়েছে অ-দেখা রূপে— শীতের ভোরে শহরের অলিগলিতে গরম চায়ের আঁচ ছড়িয়ে চে গেভারা হয়েছেন ‘চায় গেভারা’, কার্ল মার্ক্স একই ধারায় ‘বাবা মার্ক্স’ (উপরের ছবি), আবার চেনা সাধারণ রংমিস্ত্রি পেয়েছেন ‘সালভাদোর দেওয়ালি’ খেতাব। হিন্দি ছবির চরিত্র আর গ্রিক মহাকাব্য মিলে গেছে এক বিন্দুতে। চেনা গণ্ডি পেরিয়ে শিল্পীর কল্পনা এঁকেছে ভবিষ্যতের অজানা জগৎ, সমস্যাগুলো যেখানে একই রকম।
কোভিড-অতিমারির সময় প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাবে পানের খয়ের ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে জৈব রং— সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়ার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা আকর্ষণীয় নানা তথ্যও জানতে পারবেন আগ্রহীরা। স্রষ্টার অন্দরমহলে কী করে জীবন্ত হয়ে ওঠে কমিক্স, সাদা-কালো বা রঙের ব্যবহারে প্রাণ পায় শব্দ, স্কেচ— হাতে-কলমে তা জানা যাবে ‘হিস্ট্রি ইন কমিক আর্ট’ কর্মশালায়, আজই দুপুর-বিকেল জুড়ে। আর মূল প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত, সোমবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে রোজ দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮টা।
রূপকার
বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনে আনন্দমোহন বসু ও সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হন প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (ছবি)। ১৯০৫-এর ১৬ অক্টোবর অখণ্ড বাংলার প্রতীক ঐতিহাসিক ‘ফেডারেশন হল’-এর ভিত্তিপ্রস্তর প্রতিষ্ঠালগ্নে তিনি ছিলেন সক্রিয় সহযোগী। নানা বাধায় ভবন নির্মাণ পিছিয়ে গেলেও দমে যাননি কখনও। তাঁর প্রত্যক্ষ চেষ্টায় ভবনের জমি পুনরুদ্ধার হয়, ক্রমে মাথা তুলে দাঁড়ায় ফেডারেশন হল। এই মানুষটিই লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স-এর প্রথম ভারতীয় ডি এসসি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির ‘মিন্টো অধ্যাপক’, ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট-এর প্রতিষ্ঠাতা-ভাইস প্রেসিডেন্ট, সনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। ভবতোষ দত্ত বলেছিলেন, প্রমথনাথের কাছে না ফিরলে ভারত সরকারের অর্থব্যবস্থার ইতিহাস জানা যাবে না। গত ৬ নভেম্বর গুণিজন-উপস্থিতিতে ফেডারেশন হল কর্তৃপক্ষ পালন করলেন তাঁর ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী।
সময়ের ক্ষত
টি এস এলিয়টের কবিতা ‘পারফরমেন্স’-এর পরিসরে এনে নিরীক্ষামূলক একটি কাজ— বাংলা থিয়েটারে। ‘প্রজেক্ট প্রমিথিউস’-এর নতুন নাটক এমন মানবজমিন-এ দেখা যাবে এমনটাই। সুপ্রতিম রায়ের মূল নাটকের সঙ্গে মিশেছে দি ওয়েস্ট ল্যান্ড-এর ভাবানুবাদ, গত ছ’মাস ধরে চলেছে অভিনেতৃদের কর্মশালা তথা প্রস্তুতি। ইন্দুদীপা সিংহের নির্দেশনায় এ নাটক অঙ্গে ধরেছে যুদ্ধধ্বস্ত, প্রযুক্তিসর্বস্ব, নারীদ্বেষী সময়ের ক্ষত; শ্রমজীবী মানুষ ও প্রকৃতির উপরে স্বার্থান্বেষী দখলদারি। নাট্য-নির্মাতারা প্রযোজনায় আশ্রয় নিয়েছেন ক্রাউডফান্ডিং-এর, পূর্ব বর্ধমানের গ্রাম দেবীপুরের বহু মানুষের সহযোগ এসে মিশেছে তাতে। আগামী কাল রবিবার সন্ধে সাড়ে ৬টায় সিএলটি অবন মহলে প্রথম অভিনয়।
এই রাত
কেউ পড়ে শোনাচ্ছেন নতুন বই থেকে, কেউ মনোযোগী পাঠকের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যস্ত। পাশের ঘরে হয়তো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের লেখক দর্শক-শ্রোতার সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন কঠিন সময়ে সাহিত্য-শিল্পচর্চা তথা সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়ার প্রতিবন্ধগুলো। ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানি, হাঙ্গেরি, স্পেন, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেনের মতো ইউরোপের ১৪টি দেশের কবি-সাহিত্যিকরা আসছেন কলকাতায়, তাঁদের কথনে উঠে আসবে দেশ-মহাদেশের সাম্প্রতিক চিত্র, সাহিত্যে জেগে থাকা ভিন্ন স্বর। গ্যোয়টে ইনস্টিটিউট-ম্যাক্সমুলার ভবন কলকাতা ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ় দ্যু বেঙ্গল আয়োজিত ‘লং নাইট অব লিটারেচার’-এর সাক্ষী আগেও থেকেছেন শহরবাসী। এ বছর অনুষ্ঠান ১৮ নভেম্বর বিকেল ৫টা থেকে।
গানের ছায়া
রবীন্দ্রনাথের গানে অভিরূপ গুহঠাকুরতা ঘরানা-শৈলী ছাপানো নিজস্বতায় ভরপুর। রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও নানা ধারার গান, বিশেষত শচীন দেব বর্মণের গায়কি অনুকরণ ছাড়াই চমৎকার আত্মস্থ করেছিলেন। আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ক্রিকেট খেলেছেন; পিয়ানোয় দক্ষ, আড্ডার মধ্যমণি অভিরূপ স্বতন্ত্র সিলমোহর রেখেছেন বহু গানে: ‘এ মোহ আবরণ’, ‘খেলার সাথী বিদায়দ্বার খোলো’, ‘কে দিল আবার আঘাত’, ‘মম যৌবননিকুঞ্জে’। গত ৮ নভেম্বর বালিগঞ্জ প্লেসের চৌধুরী হাউসে স্মরণসভায় ওঁর নানা বয়সের ছবির সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসছিল এই সব গান। গাইলেন ওঁর প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, হল স্মৃতিচারণ। ওঁর গাওয়া বেশ কিছু গান রয়ে গেছে নানা জনের কাছে: দিশাহীন নিরীক্ষা ও নকলনবিশিতে ধ্বস্ত এই সময়ে যেন শীতল ছায়া।
আত্মপ্রকাশ
উৎকৃষ্ট সিনেমা শুধু সিনেমা-শিল্পকেই নয়, প্রভাবিত করে সমাজদর্শনকেও। আকিরা কুরোসাওয়ার ছবি রশোমন ৭৫ পূর্ণ করল গত অগস্টে: বিশ্ব চলচ্চিত্রে তার সোনার আসনটি পাকা, উপরন্তু অবদান রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক দর্শনেও, সত্যের ‘ছল’-এ পরস্পরবিরোধী উপস্থাপন নাম পেয়েছে ‘রশোমন এফেক্ট’। বহুচর্চিত ছবিটির চিত্রনাট্য চলচ্চিত্র-শিক্ষার্থী ও অনুরাগীদের শিক্ষণীয়, এ শহরের এক নতুন পত্রিকা এ বার বঙ্গানুবাদে তা হাজির করল আগ্রহীদের সামনে, সঙ্গে পরিচালকের আত্মজীবনী থেকে রশোমন তৈরির অংশটুকুও। চিত্রনাট্য (সম্পা: তাপস পাল কাজলকুমার মিত্র) পত্রিকার প্রথম সংখ্যা রশোমন-কে ঘিরে, একে একে দেশ-বিদেশের স্মরণীয় নানা ছবির চিত্রনাট্যের মৌলিক লিখিত রূপ বা অনুবাদ ছাপা হবে এই পত্রিকায়, জানা গেল সম্পাদকদের কথায়।
ছবির গভীরে
উনিশ শতকের সংস্কৃতির এক সার্থক দর্পণ তার ছবির দুনিয়া। আঁকা ও ছাপা ছবির মধ্য দিয়ে সেকালের সময় ও সমাজের বহুমাত্রিক সম্পর্ক তুলে ধরছে আলিপুর মিউজ়িয়মে দিল্লি আর্ট গ্যালারি (ডিএজি) আয়োজিত প্রদর্শনী ‘দ্য বাবু অ্যান্ড দ্য বাজ়ার’ (ছবি)। পাশাপাশি, প্রদর্শনীর বিষয় ঘিরে হচ্ছে নানা আয়োজন: আলোচনা, পাঠ, গাইডেড ট্যুর— দর্শকদের ছবি দেখা ও বোঝার পরিসর প্রসারিত করতে। প্রদর্শনী ঘুরে দেখিয়ে সে কাল-এ কালের ছবি কেনাবেচা ও শিল্প সংগ্রহের বাজার সম্পর্কে দর্শকদের বলেছেন তপতী গুহঠাকুরতা, ছবিতে নিহিত পুরাণ-মিথ-লোককথার আলোচনাও হয়েছে। আজ সন্ধে সাড়ে ৬টায় প্রদর্শনী গ্যালারিতে ঔপনিবেশিক বাংলার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে পাঠ ও আলোচনায় অধ্যাপিকা সুপ্রিয়া চৌধুরী; কথা হবে উনিশ শতকের বাণিজ্য-পরিবেশের নিরিখে লিঙ্গ, শ্রেণি ও পণ্যের সম্পর্ক নিয়ে।
শিশু ও কৃষি
‘এগ্রিকালচার ফর কিডস’, বিষয়-শিরোনামেই পরিচয়। চতুর্থ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিশু-কিশোরদের উপযোগী একগুচ্ছ ই-বুক প্রকাশ করেছে কৃষি-প্রযুক্তি সংস্থা ‘কিসানকা’। কৃষির ইতিহাস, সভ্যতার অগ্রগতিতে কৃষকের ভূমিকা, শস্য উৎপাদন, জল সংরক্ষণের মতো গোড়ার কথাগুলো সেখানে তুলে ধরা হয়েছে সহজ ভাষায়, সুদৃশ্য ছবিতে। সঙ্গে দেশ-বিদেশের কৃষকদের জীবনকথা, কুইজ়, আকর্ষক নানা তথ্য, হাতে-কলমে অনুশীলন— কাজে দেবে বড়দেরও। কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থা, জৈব চাষ, রান্নাঘর বাগান, খাদ্যসঙ্কট ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গভীর বিষয়গুলো সহজে বোঝা যাবে, ই-বুক বলে পাওয়া বা পড়াও সহজ। নতুন প্রজন্মকে কৃষি নিয়ে আগ্রহী করে তুলতে সাধু উদ্যোগ। গত ১ নভেম্বর দক্ষিণ কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে গুণিজনসমাগমে হল উদ্বোধন। সঙ্গের ছবিটি একটি বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে।
সম্মাননা
সিনেমা তাঁর কাছে এক যাত্রা। ছবি তৈরির মধ্য দিয়ে দেশের ব্যাপ্ত নিসর্গ, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র, মানুষ ও মানবিক সম্পর্ক খুঁজে চলেন গৌতম ঘোষ। পঁচাত্তর পূর্ণ করলেন এ বছর, পরিচালনার পাশাপাশি সুবিদিত তাঁর সিনেম্যাটোগ্রাফি, সত্তর দশকে স্বাধীন ভারতের দুর্ভিক্ষ থেকে সত্যজিৎ রায় বিসমিল্লা খান উৎপল দত্ত কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জি সুব্রহ্মণ্যনকে নিয়ে তথ্যচিত্র; আশির দশকে তেলুগু ভাষায় প্রথম কাহিনিচিত্র মা ভূমি-র পর প্রথম বাংলা ছবি দখল। ইটালির ভিত্তোরিয়ো দি সিকা পুরস্কার পান নব্বইয়ের দশকে, পাঁচ দশকব্যাপী সিনেমাজীবনে নানা আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সম্মানে ভূষিত। সদ্যসমাপ্ত কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ সন্ধ্যায় ‘ফিপরেস্কি-১০০ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন এ বার। শতবর্ষে পা দিল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র-সমালোচকদের সংগঠন ফিপরেস্কি, সেই উদ্যাপনেই সিনেমায় অনন্য অবদানের জন্য এই সম্মান, ফিপরেস্কি-ইন্ডিয়া’র উদ্যোগে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)