Advertisement
E-Paper

‘বিয়ের’ পরে দেহ উদ্ধার দুই স্কুলপড়ুয়ার

কিশোরের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার সে মোবাইল সারানোর নাম করে বেরোয়। কিশোরী বেরিয়েছিল পড়তে যাবে বলে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোক। তাঁরা যান কিশোরের বাড়িতেও। অভিযোগ, বাড়ির অমতে সম্পর্ক কেন, তা নিয়ে দুই পরিবারে বাদানুবাদ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০০:৪৭
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দুই স্কুলপড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার, বিরাটির দক্ষিণ প্রতাপগড়ের ঘটনা। ওই দু’জন বনগাঁর এক স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। কিশোরটির বাড়ি বনগাঁর সীতানাথপুরে। কিশোরী থাকত কাছেই ধর্মপুকুরিয়া গ্রামে। পুলিশের অভিযোগ, পড়তে পড়তেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু দুই পরিবার ওই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। এর পরেই বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওই দুই পড়ুয়া। সেই মতো মন্দিরে গিয়ে কিশোরীকে সিঁদুর পরিয়ে তারা আশ্রয় নেয় দক্ষিণ প্রতাপগড়ে কিশোরটির এক আত্মীয়ের বাড়িতে।

কিশোরের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার সে মোবাইল সারানোর নাম করে বেরোয়। কিশোরী বেরিয়েছিল পড়তে যাবে বলে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোক। তাঁরা যান কিশোরের বাড়িতেও। অভিযোগ, বাড়ির অমতে সম্পর্ক কেন, তা নিয়ে দুই পরিবারে বাদানুবাদ হয়। ওই কিশোরীর পরিবার অপহরণের অভিযোগ করে ছাত্রটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে কিশোরীর বাবা বলেন, ‘‘দু’জনের সম্পর্কের কথা জানতাম না। মেয়ে বহুক্ষণ পরেও ফিরছে না দেখে ওই ছেলেটির বাড়ি গিয়েছিলাম ফোন নম্বর আনতে। এর বেশি কিছু নয়।’’

পুলিশ জানায়, বিরাটির যে বাড়িতে ওই দুই বন্ধু আশ্রয় নিয়েছিল, সেখানকার মালিক গোপাল বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী মণিকাদেবী কিছুক্ষণের জন্য বেরিয়েছিলেন। তাঁরা ফিরে দেখেন, চিলেকোঠার সিলিং থেকে কেব্‌লের তারে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে দুই বন্ধুর দেহ। মণিকাদেবী বলেন, ‘‘সাড়ে সাতটা নাগাদ ওরা এসেছিল। চাউমিন আনিয়ে আমিই মেয়েটিকে খেতে দিই। তার পরে রাতে দোকানে গিয়েছিলাম। ফিরে দেখি এই কাণ্ড।’’

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মনোবিদ উশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুলে পড়ার সময়ে সম্পর্কে জড়ানো এবং তা থেকে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া, এমন ঘটনা নজরে পড়ে ঠিকই। কিন্তু মুহূর্তের সিদ্ধান্তে দু’জনের একসঙ্গে আত্মহত্যা ব্যতিক্রম। এখানে ছেলেটি ও মেয়েটি, দুই তরফেই সম্মান হারানোর ভয় এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার হতাশা কাজ করেছে।

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (২) ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, ‘‘যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেহ দু’টি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।’’

Mariage Suicide আত্মহত্যা ঝুলন্ত দেহ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy