একটা ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, বিপর্যয়ের পর উদ্ধার কাজে কতটা ‘প্রস্তুত’ দমকল ও কলকাতা পুলিশ! রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা বছর তিরিশের যুবক সম্রাট সরকার ওরফে বাপিকে পাতকুয়ো থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়ে গিয়েছে তারা। দফায় দফায় ডুবুরি নামিয়েও কোনও কাজ হয়নি। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কিছুটা লড়াই করলেও, শেষ পর্যন্ত এক পাতকুয়ো মিস্ত্রির শরণাপন্ন হতে হয় পুলিশকে। তার পর ওই যুবককে উদ্ধার করা যায়। তবে, তখন আর বেঁচে ছিলেন না বাপি।
শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটে থেকে শনিবার সকাল ন’টা পর্যন্ত চলেছে উদ্ধারকাজ। ৫০ ফুট গভীর পাতকুয়ো থেকে এক যুবককে উদ্ধার করতে কেন ২০ ঘণ্টা লেগে গেল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা, ক্ষুব্ধ যুবকের পরিবার। যাঁরা এই উদ্ধারকাজের প্রায় গোটাটারই সাক্ষী ছিলেন, তাঁদেরও প্রশ্ন, কোনও ঘটনা ঘটলে কি এ ভাবেই মৃত্যুর মুখ দেখতে হবে? কোথায় গেল কলকাতা পুলিশের প্রশিক্ষিত বাহিনী? কেন বাপিকে উদ্ধার করতে পারলেন না দমকল কর্মীরা? চার বার ডুবুরি নামিয়েও কেন কোনও কাজ হল না?
পাতকুয়ো মিস্ত্রি মেঘনাদ সর্দারকে কলকাতা পুলিশে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর চাকরি পাওয়ার কথা শুনে ওই এলাকার বাসিন্দারা যদিও খুশি। তবে তাঁদের মতে, মেঘনাদ পাতকুয়ো মিস্ত্রি ঠিকই, কিন্তু তিনি তো আর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মতো প্রশিক্ষণ পাননি। ডুবুরি, দমকলকর্মী, কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা যে ভাবে প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন, তাঁদেরই তো ওই যুবককে উদ্ধার করা কথা ছিল।