আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল চিত্র।
শয্যা ৮০টি। অথচ রোগী থাকছে ১০০ থেকে ১২০ জন। কখনও আবার তিন-চার জন শিশু একই শয্যায় থাকছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটের (এসএনসিইউ) এই অবস্থার কথা উঠে এল শুক্রবারের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে।
শিশুরোগ বিভাগের এক শিক্ষক-চিকিৎসক জানান, একই শয্যায় দু’-তিন জন একসঙ্গে থাকার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রেফার হয়ে আসা কোনও সদ্যোজাতকেই ফেরানো হবে না। অগত্যা সকলকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে একই শয্যায় ঠাঁই হচ্ছে একাধিক শিশুর। তবে আগের থেকে রেফারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলেও এ দিন দাবি করেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সমস্যা মেটাতে অবিলম্বে অবিনাশ দত্ত মাতৃসদনটি চালু করার নির্দেশ দেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। ওই হাসপাতালের এসএনসিইউ-তে ২২টি শয্যা রয়েছে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভর্তি হওয়া সদ্যোজাত কিছুটা স্থিতিশীল হলে আর জি কর থেকে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে অবিনাশ দত্ত মাতৃসদনে। নর্থ সাবার্বান হাসপাতালে মেডিসিন এবং রেডিয়োথেরাপির অন্তর্বিভাগ চালুরও এ দিন নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান।
অন্য দিকে, হাসপাতাল থেকে ছুটির সময়ে ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো চিকিৎসার খরচ উল্লেখ করার প্রক্রিয়া চালু করতে সাত সদস্যের কমিটি তৈরি হয়েছে। এসএসকেএমের পরে আর জি করেও দিন দশেকের মধ্যে কার্ডিয়োলজি, কার্ডিয়োথোরাসিক, অস্থি, রেডিয়োলজি বিভাগে ওই ব্যবস্থা চালু হবে। এ দিন ইউরোলজি এবং ত্বক বিভাগে লেজ়ারের মাধ্যমে অস্ত্রোপচারের যন্ত্রের উদ্বোধন হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy