Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

পুজো শেষ হতেই দক্ষিণ দমদমে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

সংশ্লিষ্ট পুরসভা সূত্রের খবর, পুজোর সময়ে সংক্রমণ কমে দিনে চার থেকে পাঁচ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। কিন্তু পুজো শেষ হতেই সেই সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

An image of Dengue

ধূম্রজাল: মশা মারতে ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে দত্তাবাদের বস্তি এলাকায়। সোমবার। ছবি: সুমন বল্লভ। 

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:২২
Share: Save:

পুজোর মুখে বৃষ্টিতে সিঁদুরে মেঘ দেখেছিলেন বাসিন্দারা। আশঙ্কা সত্যি করে ফের দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এর আগে কিছু দিন আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী দেখে ডেঙ্গির প্রকোপ কমার আশা দেখেছিলেন বাসিন্দারা।

সংশ্লিষ্ট পুরসভা সূত্রের খবর, পুজোর সময়ে সংক্রমণ কমে দিনে চার থেকে পাঁচ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। কিন্তু পুজো শেষ হতেই সেই সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। রবিবার ও সোমবার ২২ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ দমদমে আড়াই হাজার বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি এবং জ্বর মিলিয়ে ওই পুর এলাকায় আট জনের মৃত্যু ঘটেছে। কয়েক দিন ধরে ডেঙ্গির প্রকোপ যে সব জায়গায় বাড়ছে, আগেও ওই সব জায়গায় রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

অথচ পুর প্রশাসনের দাবি, পুজোর সময়েও ওই সব এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলেছে। সে ক্ষেত্রে ফের ডেঙ্গির প্রকোপ কী ভাবে বাড়ছে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির খবর সামনে আসতেই পুরপ্রতিনিধিরা নিজেদের ওয়ার্ড এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে গতি বাড়িয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। পুজোর পরেই পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড
এলাকার জলা জায়গা এবং পুরনো কারখানা এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে মশার ওষুধ ছড়ানো হয়েছে। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি সুকান্ত সেনশর্মা জানান, পুজোর সময়ে কিছুটা কমলেও ডেঙ্গির প্রকোপ ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। তাই মশা নিয়ন্ত্রণে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে।

বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সকলেই পুজোয় মেতে ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণে কাজের গতি কিছুটা হলেও শ্লথ হয়েছিল। ফলে পুজোর পরে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা ছিলই। দক্ষিণ দমদমে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থায়ী পরিকল্পনার প্রয়োজন। বাসিন্দাদের মতে, ঘিঞ্জি এই পুর এলাকায় পরিত্যক্ত কারখানা, গুদাম বা বসতবাড়ি-ফ্ল্যাট যেমন রয়েছে, তেমনই উদ্যান, নির্মীয়মাণ আবাসনও রয়েছে। ওই সব জায়গায় বছরভর মশা নিয়ন্ত্রণে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বাজার এলাকার পরিবেশ যথেষ্ট অস্বাস্থ্যকর। সর্বস্তরে সচেতনতার অভাব স্পষ্ট। অতএব এলাকার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি প্রশাসনের প্রাধান্য দেওয়া দরকার।

পুজো মিটতেই দেখা যাচ্ছে জলাশয়, খাল ও বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র আবর্জনা জমে রয়েছে এবং প্লাস্টিক-বাতিল জিনিস জলে ভাসছে। এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের। তবে ওই অভিযোগ মানতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, এলাকার পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা এটাও মানছেন, সেটা যে সেই উদ্যোগ পর্যাপ্ত নয়।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে ডেঙ্গির সংখ্যা অনেকটা নিম্নমুখী হয়েছিল। পুজোর পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলছে। সেখানে মশা নিয়ন্ত্রণের পরিষেবায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE