ফাইল চিত্র।
গবেষকদের জন্য গবেষণাগার খোলা ছাড়া এ রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পঠনপাঠনের জন্য এখন খুলছে না। বুধবার এমনই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (কুটা) সাধারণ সম্পাদক সাংখ্যায়ন চৌধুরী জানান, ক্যাম্পাস যে খোলা দরকার তা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার সরকারি সিদ্ধান্তেই প্রমাণিত। প্রশাসন যদি বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে অর্ধেক আবাসিককে হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা এবং বাকিদের বাইরে থাকার ব্যবস্থা করত, তা হলে পড়ুয়ারাই লাভবান হতেন। সেই সঙ্গে চলতি সিমেস্টারের পাঠ্যসূচি থেকে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস বাতিলের যে কথা উঠেছে তা বাস্তবসম্মত নয় বলেই মনে করছেন তিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই স্নাতকোত্তর স্তরে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস চালু করে দিয়েছিল।
বুধবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যকে (শিক্ষা) ডেকে শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই সে বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। সাংখ্যায়নবাবু জানাচ্ছেন, প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস নেওয়া বন্ধ রাখা হবে কি না সে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদিও কিছু জানাননি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “গবেষকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগার খোলার প্রয়োজন ছিল ঠিকই। তবে গবেষকেরা হস্টেলে থাকেন, তাই তাঁদের জন্য সেটিও খোলা উচিত। এর পর ধাপে ধাপে চূড়ান্ত বর্ষ ও অন্য বর্ষের জন্য পরিকল্পনা মতো ক্যাম্পাসও খুলে দেওয়া দরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy