Advertisement
E-Paper

ডিএনএ পরীক্ষা করানো হচ্ছে নির্যাতিতার, ৩ অভিযুক্তেরও নমুনা সংগ্রহ! তদন্তকারী দলের সদস্য ৫ থেকে বাড়িয়ে ৯

কলেজকাণ্ডের তদন্তে যে সিট গঠন করা হয়, তার সদস্য সংখ্যা ছিল পাঁচ। এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে হল নয়। যে চার জন নতুন যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা সাব ইনস্পেক্টরও রয়েছেন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ১৪:০০

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কলেজকাণ্ডে নির্যাতিতার ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গণধর্ষণে অভিযুক্ত তিন জনেরও ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ডিএনএর নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তার রিপোর্ট এই ঘটনার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। অন্য দিকে, কসবাকাণ্ডের তদন্তে যে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করা হয়েছিল, এ বার তার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হল। আগে সিটের সদস্য সংখ্যা ছিল পাঁচ। এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে হল নয়। যে চার জন নতুন যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা সাব ইনস্পেক্টরও রয়েছেন।

দক্ষিণ কলকাতার এক আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন চার জন। শনিবার নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। স‌ংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে। ঘটনার দিনের সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। সেখানে ধৃত চার জনকেই দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ, ঘটনাস্থলে চার জনের উপস্থিতি নিশ্চিত। বাকি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। ওই তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) প্রদীপকুমার ঘোষাল। এ বার সেই সিটের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হল। প্রসঙ্গত, বুধবারের ওই ঘটনার পরের দিনই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিংয়ের সামনে থেকে। তৃতীয় অভিযুক্তকে ওই দিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গ্রেফতার করে পুলিশ। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে এই তিন জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তিন জনের মধ্যে এক জন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। বাকিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং এই কাজে সাহায্য করেছিলেন। কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকে অভিযোগপত্রে ‘অসহায়’ বলে উল্লেখ করেছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি বলে জানিয়েছিলেন। এই নিরাপত্তারক্ষীকে প্রথমে আটক করেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি (রক্ষী)। বয়ানে অসঙ্গতি ছিল। কলেজ ক্যাম্পাসে যে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, সেখান থেকে ঘটনার সময়ে তাঁর উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।’’ পুলিশের সূত্রে খবর, রক্ষী তাঁর দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সে সময়ে তিনি একাই ডিউটিতে ছিলেন, না কি আর কোনও রক্ষী দায়িত্বে ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগকারিণী এবং অভিযুক্ত তিন জনের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হল।

Kolkata Police SIT
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy