Advertisement
E-Paper

নিরাপত্তাই চিন্তা, বোঝাতে চাইলেন চিকিৎসকেরা

চিকিৎসক দিবসে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করা কার্টুনই বলে দিচ্ছে, সোমবার বিশেষ দিনের উদ্‌যাপনের নানা মুহূর্তের মধ্যে কর্মস্থলে নিরাপত্তার দুর্ভাবনা কী ভাবে ঘিরে রেখেছে চিকিৎসক সমাজকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯ ০১:৫১
চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় যজ্ঞ। সোমবার, রাজা বসন্ত রায় রোডে। নিজস্ব

চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় যজ্ঞ। সোমবার, রাজা বসন্ত রায় রোডে। নিজস্ব

সারা শরীর বর্মে ঢাকা। এক হাতে স্টোথোস্কোপ, আর এক হাতে ঢাল। তার উপরে লেখা, ‘চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া এখন প্রতিদিনের যুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকেরা হয়ে গেছেন যোদ্ধা’!

চিকিৎসক দিবসে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করা কার্টুনই বলে দিচ্ছে, সোমবার বিশেষ দিনের উদ্‌যাপনের নানা মুহূর্তের মধ্যে কর্মস্থলে নিরাপত্তার দুর্ভাবনা কী ভাবে ঘিরে রেখেছে চিকিৎসক সমাজকে। শুধু কী কার্টুন! হোয়াটসঅ্যাপে চিকিৎসকদের শুভেচ্ছা বার্তা জানানোর মধ্যেও চিকিৎসক নিগ্রহ এবং তার প্রেক্ষিতে রোগী-ডাক্তার সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর বার্তা। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে পাঠানো সেই শুভেচ্ছা বার্তায় প্রেরক লিখেছেন, ‘‘চিকিৎসকদের উপরে সমাজের বিশ্বাস এবং আস্থার বাঁধন আরও দৃঢ় হোক। তা হলেই রোগী-ডাক্তারের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা মিটে যাবে।’’

রাজা বসন্ত রায় রোডে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে তো চিকিৎসকদের জন্য রীতিমতো যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা সেই যজ্ঞে চিকিৎসক সেজে বসেছিলেন কয়েক জন। বিভিন্ন ক্যাপসুলের আকারে তৈরি মিষ্টি ছিল নৈবেদ্য। স্যালাইনের বোতলে গঙ্গাজল। কলাপাতার উপরে সাজানো রয়েছে চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জাম।

চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার প্রসঙ্গ এড়াতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানান, শহরের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্থানীয় চা বিক্রেতা বা দোকানদারদের একাংশকে রাজ্য সরকার ‘পথবন্ধু’ হিসাবে বেছে নেবে। তাঁদের কাছে একটি অ্যাপ থাকবে। যার সাহায্যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথমে পুলিশ এবং পরে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন তিনি।

এর পরেই সরাসরি এনআরএস-কাণ্ডের উল্লেখ না করে মমতা বলেন, ‘‘হাজারটা লোক আসে। ঘটনা ঘটে একটা। সেই ঘটনাই দাগ দিয়ে চলে যায়। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে একটাও ঘটনা না ঘটে। বোঝাতে হবে। এক জন চিকিৎসককে হাজারের উপর রোগী দেখতে হয়। আমি তো আউটডোরগুলোর হিসেব জানি। লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। তাঁরা চিকিৎসা না পেলে মুখগুলো শুকিয়ে যায়। এই জায়গাটা ভালবাসার জায়গা। নিজের পরিবার-পরিজনকে যেমন ভালবাসি, চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও নিজের পরিবার মনে করে ভালবাসতে হবে।’’

এই ‘ভালবাসা’র সম্পর্ক তৈরিতে সরকারেরও ভূমিকা রয়েছে, বলছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

Health Security
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy