Advertisement
E-Paper

মেডিক্যালের পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতীকী অনশনে চিকিৎসকরাও

ছাত্রদের পক্ষে সায়ন্তন মুখোটি বলেন, ‘‘গত তিন-চার বছর ধরে সিনিয়র পড়ুয়ারা বাইরে ঘরভাড়ায় থেকে পড়াশোনা করেছেন। অথচ এ বছর যাঁরা নতুন ভর্তি হলেন, তাঁদের হস্টেল পাইয়ে দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮ ১৫:১৪
প্রতীকী অনশনে তিনটি চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র

প্রতীকী অনশনে তিনটি চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র

হস্টেলের দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনশনরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াল তিনটি চিকিৎসক সংগঠন। শুধু মৌখিকভাবে নয়, ছাত্রদের সঙ্গেই ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসলেন অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্‌থ সার্ভিসেস, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রয়োজনে যৌথভাবে আন্দোলন আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

হস্টেলে সিট পাওয়ার দাবিতে এক সপ্তাহেরও বেশি অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সাত পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে তিন জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সকাল থেকে তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে শামিল হয় চিকিৎসকদের তিনটি সংগঠন। ওই সংগঠনের সদস্যরাও ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেন। ভবিষ্যতেও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পাশে থাকবেন এবং প্রয়োজনে একসঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

অনশনরত ছাত্রদের বক্তব্য, নতুন ভবন তৈরির সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে সিনিয়র ছাত্রছাত্রীদের রাখা হবে। কিন্তু নতুন অধ্যক্ষ আসার পর সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদের পক্ষে সায়ন্তন মুখোটি বলেন, ‘‘গত তিন-চার বছর ধরে সিনিয়র পড়ুয়ারা বাইরে ঘরভাড়ায় থেকে পড়াশোনা করেছেন। অথচ এ বছর যাঁরা নতুন ভর্তি হলেন, তাঁদের হস্টেল পাইয়ে দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই।’’

আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র গার্ডেনরিচ

অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিসেস এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্রদের দাবি অযৌক্তিক নয়। দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করা সত্ত্বেও ছাত্ররা হস্টেল পাচ্ছেন না। অথচ নবনির্মিত ভবনে তাঁদের না রেখে নতুনদের সিটের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। যদিও এ বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের যুক্তি, এমসিআই-এর নির্দেশ মেনেই নতুন ভবনে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাগিং রুখতে একই ভবনে সিনিয়র ছাত্রদের রাখার কোনও সংস্থান নেই। সেই কারণেই তাঁরা নিরুপায়। এর মধ্যেই এদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ। সেই সময় আন্দোলনকারীরা তাঁর অ্যাম্বুল্যান্স আটকান বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: কিশোরীর বিয়ে, ধৃত বাবা এবং পুরোহিত

পড়ুয়াদের অনশন জট কাটাতে অভিভাবকদের সঙ্গেও সোমবারই বৈঠক করেছেন অধ্যক্ষ উচ্ছল ভদ্র। কিন্তু দু’পক্ষ সহমত হতে পারেনি। মঙ্গলবার বরং অনশনরত পড়ুয়াদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন অভিভাবকরা। অন্যদিকে অনশনকারী পড়ুয়া চিকিৎসকরা এখনও অনশনে অনড়। এদিনও তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমরা আর চিকিৎসার ধারে কাছে যাব না। দাবি না মানা পর্যন্ত এখানেই আমরণ অনশনে থাকব।’’

Kolkata Medical College Student Movement Hunger Strike Hostel Doctors
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy