Advertisement
E-Paper

শহরে এ বার মশার উৎস খুঁজবে ড্রোন

শহরের আকাশে উড়বে ‘ড্রোন’। আধুনিক এই ক্যামেরা নজর রাখবে কলকাতার কোথায় জল জমে রয়েছে, কোথায় জঞ্জাল ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে। মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে এ বার নয়া প্রযুক্তির ওই ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুর প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২০

শহরের আকাশে উড়বে ‘ড্রোন’। আধুনিক এই ক্যামেরা নজর রাখবে কলকাতার কোথায় জল জমে রয়েছে, কোথায় জঞ্জাল ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে। মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে এ বার নয়া প্রযুক্তির ওই ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুর প্রশাসন।

মঙ্গলবার পুরসভায় মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, শহরবাসীকে বার বার বলা হচ্ছে জল জমাবেন না। জঞ্জাল জমতে দেবেন না। তা থেকে যে মশার বংশ বাড়ছে তাও জানানো হচ্ছে। কিন্তু এর পরেও দেখা যাচ্ছে অনেক জায়গায় জল জমানোর প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। স্কুল-কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল-সহ সরকারি ও বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেই জল জমার ঘটনা ঘটছে। সব তো আর পুরকর্মীদের নজরে পড়ে না। তাই আধুনিক প্রযুক্তির ওই ক্যামেরা ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছে। তিনি জানান, শহর জুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলা হচ্ছে ডেঙ্গি হলেই পুরসভায় খবর দিন। কারণ পুরসভা মশা দমনের কাজটা করে।

পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে মশার বংশ বৃদ্ধি সব থেকে বেশি হচ্ছে নির্মাণস্থল থেকে। বহু নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ে, সেতুর উপরে জল জমে থাকছে। যা সচরাচর পুরকর্মীদের চোখে পড়ছে না। ওই ক্যামেরা তার স্বচ্ছ চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হবে। তাতে কোথায় জল জমে রয়েছে তা সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন পুরকর্মীরা।

মেয়র পারিষদ জানান, কলকাতার ১৬টি বরোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির খবর মিলেছে ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর বরো এলাকায়। ওই সব এলাকায় নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের সংখ্যাও বেশি। ইতিমধ্যেই জল জমানোর প্রবণতা রুখতে পুর আইনকে আরও কড়া করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে পুর প্রশাসন। পাশাপাশি ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার জমা জলের উৎস খুঁজতে সাহায্য করবে। তাতে মশা নিধনের কাজ অনেক দ্রুত করা যাবে বলে মনে করছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর।

Drone surveillance Water Logging Dengue
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy