ফাইল ছবি
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে তল্লাশি চালালেন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর (এনসিবি) প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার চার বহিরাগতের কাছে মাদক পান তাঁরা। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এনসিবি জানিয়েছে, অনেক কলেজেই তারা মাদক নিয়ে খোঁজ পায়। যাদবপুরেও পাওয়া গিয়েছিল। তাই সেখানে যাওয়া হয়, এর বেশি কিছু নয়।
উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বুধবার বলেন, ‘‘এনসিবি-র আধিকারিকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে মাদক সংক্রান্ত তথ্য আছে। তার ভিত্তিতে তাঁরা ক্যাম্পাসে তল্লাশি করতে চান। এর পরে তল্লাশি শুরু হয়।’’ সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝিলপাড়ে চার বহিরাগতের কাছে মাদক মেলে। যাদবপুর ক্যাম্পাসে মদ ও মাদকের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ উঠেছে অতীতেও। সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাসে অবাধ মদ ও মাদক সেবন চলে বলে অভিযোগ। এর সঙ্গে বহিরাগত-যোগের কথা বলেন অনেকেই। এক সময়ে কর্তৃপক্ষ রাতে বহিরাগতদের ঢোকা আটকাতে গেটে পরিচয়পত্র দেখানোর নিয়ম চালু করতে চাইলেও পড়ুয়াদের আপত্তিতে সম্ভব হয়নি। আগে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাস পরিদর্শন, সচেতনতামূলক মিছিল করেছেন। উপাচার্য এ দিন জানান, এনসিবি আসার আগেই ক্যাম্পাসে মদ-মাদক সেবন নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়। সেটি শুক্রবার হওয়ার কথা। এনআইআরএফ র্যাঙ্কিংয়ে এ বার দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুরের স্থান চতুর্থ। কিন্তু প্রথম তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ‘জনমানসে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ধারণা’— এই বিভাগে যাদবপুর কম নম্বর পেয়েছে। শিক্ষামহলের একাংশের মত, মদ-মাদক নিয়ে ওঠা অভিযোগ বিরূপ ধারণা তৈরির অন্যতম কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy