প্রথম দিনে সাত ঘণ্টা জেরা। তার পরেও ‘সন্তুষ্ট’ হতে পারেনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাই বুধবার ফের বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে জেরা শুরু করলেন ইডি অফিসারেরা।
এ দিন দুপুরে বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেকের ইডি দফতরে পৌঁছে যান প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়। নারদ মামলায় এক দিকে যখন বৈশাখীকে জেরা করছেন অফিসারেরা, তখন ইডি দফতরেই শোভনকে ঠায় বসে থাকতে দেখা গেল।
গত ৭ ডিসেম্বরও প্রায় সাত ঘণ্টা বসে ছিলেন রাজ্যের এই প্রাক্তনমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা যতবারই আদালতে উঠেছে, এমনকি মামলার শুনানি চলাকালীনও আদালতে বৈশাখী-শোভনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে।
বৈশাখীকে কেন্দ্র করেই মেয়রপদ এবং মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছিল শোভনকে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বারাবরই বৈশাখীকে ‘বিপদের বন্ধু’ বলে এসেছেন শোভনবাবু।
নারদ মামলায় আর্থিক তছরুপের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। গত বছরের জেরার মুখে ইডি অফিসারদের শোভন জানিয়েছিলেন, আমার সম্পত্তির বিষয়টি জানেন আমার স্ত্রী রত্না।
আরও পড়ুন: পাটুলিতে বাড়ির সামনে মত্ত যুবকদের হাতে শ্লীলতাহানি, বেধড়ক মারধর কলেজ ছাত্রীকে
তখন অবশ্য লন্ডনে ছিলেন রত্না। বিষয়টি জানার পরই তিনি কলকাতায় ফিরে ইডি দফতরে পৌঁছে যান। কিন্তু সম্পত্তি বা টাকা-পয়সার নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতেই আটকে গেল উত্তুরে হাওয়া, গরম বাড়বে কলকাতায়
ইতিমধ্যে নারদ সংক্রান্ত নথিপত্র বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন বলে দাবি করেন শোভন। সে কারণেই বৈশাখীকে তলব করা হয়। বৈশাখীকে জেরা করার পর গত মঙ্গলবার তলব করা হয়েছিল রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত কারণে ব্যস্ত থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি। এ বিষয়ে ইডিকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অন্য কোনও দিন তাঁকে ডাকা হলে যাবেন।
এ প্রসঙ্গে রত্না বলেন, “বৈশাখীই তো সব জানেন। আমি তো কিছুই জানি না। আমি যা জানি ইডি-কে জানাব।”
(শহরের সেরা খবর, শহরের ব্রেকিং নিউজজানতে এবং নিজেদের আপডেটেড রাখতে আমাদের কলকাতা বিভাগ পড়ুন।)