প্রতীকী ছবি।
বাড়ি পুড়ে সর্বস্ব খুইয়েছে নারকেলডাঙার বেশ কিছু পরিবার। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়িয়েছে। রবিবার বিকেলে এই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে বেআইনি ভাবে বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়াকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
নারকেলডাঙা থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্ব রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটের। রবিবার বিকেলে সেখানকার একটি দোতলা বাড়ির উপরের সব ক’টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাতেও অবশ্য হুঁশ ফেরেনি। গোটা এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এখনও বিপজ্জনক ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে ইলেকট্রিক, কেব্লের তার। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ‘‘কিছু মানুষ দিনের পর দিন মিটার বাক্সে কারসাজি করে বিদ্যুৎ চুরি করছে। প্রশাসন কঠোর না হলে ফের বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটবে।’’
অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং রুল্স অনুযায়ী, একটি বাড়ির সঙ্গে আর একটি বাড়ির যে তফাত থাকার কথা, তা ওই এলাকার প্রায় কোনও বাড়িতেই নেই। প্রতিটি বিল্ডিংয়ের মিটার বাক্স থেকে যে যেমন খুশি বিদ্যুতের তার টেনে ঘরে ঢুকিয়ে নিয়েছে। ‘ওয়্যারিং’ বলতে কিছুই নেই। রাস্তার দু’ধারে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে তার। সাবধানে না হাঁটলে মাথায় জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘মিটার বাক্স থেকে বিদ্যুৎ চুরি হয় ঘরে-ঘরে। কিছু মানুষের জন্য বাস করাই দায়।’’
অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘‘পুলিশ ও সিইএসসি নিয়মিত অভিযান চালায়। গ্রেফতারও হয়। তা-ও বিদ্যুৎ চুরি চলছেই।’’ তাঁর দাবি, ‘‘গত দু’বছরে চুরি খানিকটা কমেছে।’’ সিইএসসি সূত্রে খবর, ওই এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে গত ছ’মাসে প্রায় একশোটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
সিইএসসি-র এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা চুরির অভিযোগ পেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে থানায় অভিযোগ জানাই।’’ সব জেনেও পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয়? ডিসি (ইএসডি) দেবস্মিতা দাস বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিই। রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটে কী হচ্ছে, খতিয়ে দেখা হবে।’’