Advertisement
E-Paper

ধুলো কমাতে উদ্যোগী সরকার

পরিবেশমন্ত্রী বৈঠক ডেকে বিধি মেনে নির্মাণকাজ করতে বললেও পরিবেশকর্মীদের অনেকেরই প্রশ্ন, এই সব বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা আদৌ দেখা হবে তো?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৬
নির্মাণ ব্যবসায়ী এবং নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থাকে নিয়ে বৈঠক করলেন পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র

নির্মাণ ব্যবসায়ী এবং নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থাকে নিয়ে বৈঠক করলেন পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র

শীতে শহরের বাতাসে মারাত্মক ভাবে বেড়েছে দূষণের মাত্রা। যার পিছনে পরিবেশবিদেরা ধূলিকণার অতিরিক্ত পরিমাণকেই দায়ী করেছিলেন। সেই দূষণ রুখতে কিছুটা হলেও এ বার নড়ে বসল পরিবেশ দফতর।

বুধবার শহরের নির্মাণ ব্যবসায়ী এবং নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থাকে নিয়ে বৈঠক করলেন পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং পরিবেশ দফতর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পদস্থ আধিকারিকেরা। পরে শুভেন্দুবাবু জানান, সব সংস্থাকে পরিবেশ-বিধি মেনে নির্মাণকাজ করতে বলা হয়েছে। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো-সহ একাধিক প্রকল্পে যুক্ত রেল বিকাশ নিগমের কোনও প্রতিনিধি এ দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই বিষয়টি আমরা রেল বোর্ডকে জানাব।’’

পরিবেশমন্ত্রী বৈঠক ডেকে বিধি মেনে নির্মাণকাজ করতে বললেও পরিবেশকর্মীদের অনেকেরই প্রশ্ন, এই সব বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা আদৌ দেখা হবে তো? পরিবেশমন্ত্রীর জবাব, ‘‘চাইলেই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বার করতে।’’ সূত্রের খবর, নির্মাণ সংস্থাগুলিকে নির্মাণ স্থল ঢেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কলকাতার বায়ুদূষণ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলায় নির্দেশ কার্যকর না করায় রাজ্যকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। সরকারি সূত্রের খবর, সেই জরিমানার টাকা যাতে মকুব করা হয় তার চেষ্টা যেমন চলছে, তেমনই সরকার দূষণ ঠেকাতেও উদ্যোগী হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী এ দিন জানান, সমন্বয়ের জন্য রাজ্যের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে দিন কয়েক আগে বিশেষ কমিটি তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবহণ দফতরে পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করে ইতিমধ্যেই ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি নিষিদ্ধ করা হয়েছে শহরে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশ জারি করে খোলা জায়গায় কাঠ, খড়, টায়ারজাতীয় সামগ্রী পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাতাসে ধূলিকণার উপস্থিতি জানতে ১০টি জায়গায় বিশেষ যন্ত্র বসানো হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমরা বাতাসে মাঝারি মাপের ধূলিকণার উপস্থিতি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে চাই। আগামী শীতে আশা করছি পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হবে।’’

এ দিন মন্ত্রী জানান, কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর, বারাসাত এবং বারুইপুর পুরসভাকে রাস্তায় ধুলো কমাতে জল ছেটানোর গাড়ি দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসে ৮০টি পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক বাসও চালু হবে বলে জানান তিনি।

Pollution Dust Suvendu Adhikari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy