প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেল থেকে পালিয়ে আসা এক অপরাধীকে গ্রেফতার করল সোনারপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম আশরাফ সর্দার ওরফে জিয়া গাজি। সোমবার রাতে কারবালা এলাকার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে ধরা হয় তাকে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকদের দাবি, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল আশরাফ। ২০১৭ সালে জেল থেকে পালিয়ে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকে সে। সোনারপুর থানা এলাকার কারবালায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে আশরাফ। পরিচয় গোপন রেখে সোনারপুর-নরেন্দ্রপুর এলাকায় ধূপকাঠি ফেরি করত সে।
সোনারপুর থানার এক তদন্তকারী অফিসার জানান, দিন তিনেক আগে এক ব্যক্তি একটি বাংলাদেশি সংবাদপত্রের ২০১৩ সালের পাতা থানায় জমা দিয়েছিলেন। তাতে বাংলাদেশের পুলিশ আশরাফকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে— এমন ছবি-সহ একটি খবর ছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই ছবির সূত্র ধরে সোনারপুর থানা এলাকায় খোঁজ শুরু হয়। এর পরে জানা যায়, একই চেহারার এক ব্যক্তি সোনারপুর ও নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় ধূপকাঠি বিক্রি করে। সে কারবালার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে বলেও জানা যায়। সোমবার রাতে ওই ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়ে আশরাফকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে বেশ কিছু বাংলাদেশি টাকাও উদ্ধার করা হয়। টানা জেরায় আশরাফ সব স্বীকার করেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
এক তদন্তকারী জানান, বহু বাংলাদেশি অপরাধী পালিয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে খবর রয়েছে। এমনকি, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে দলবল তৈরি করে এ রাজ্যেও তারা ডাকাতি করেছে বলে অভিযোগ। আবার ডাকাতি করে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনারও উদাহরণ রয়েছে। কারবালার ওই বাড়িতে আশরাফ একা থাকত না। বেশ কয়েক জন তার সঙ্গে থাকত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, আশরাফকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ওই সঙ্গীদের খোঁজ করা হবে। ধৃত এখানে কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশ আইনের ধারায় আশরাফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে। কী ভাবে সে জেল থেকে পালিয়ে এসে ডেরা তৈরি করেছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy