ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’সপ্তাহ। দমদমে লুটের ঘটনায় জড়িত সব অভিযুক্তের নাগাল এখনওপেল না পুলিশ। ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিদের খোঁজ মেলেনি। পুলিশের অবশ্য দাবি, তদন্ত চলছে। দ্রুত বাকি অভিযুক্তেরাও ধরা পড়বে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ছ’-সাত জনের একটি দুষ্কৃতী দল দমদম পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে হামলা চালায়। একতলার একটি ঘরের জানলার গ্রিল ভেঙে ঢুকে,দোতলায় প্রবীণ গৃহকর্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে লুটপাট চালায় তারা। এর পরে একই পথে চম্পট দেয়। ঘরেসেই সময়ে শয্যাশায়ী ছিলেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত গৃহকর্তা। ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচ দিনের মাথায় মণিমোল্লা এবং বিবেক রায় নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় লুটে ব্যবহৃতএকটি স্কুটার এবং একটি মোটরবাইক। এক সপ্তাহ বাদে গ্রেফতার করা হয় রবিউল গাজি নামে তৃতীয় অভিযুক্তকে। তাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিউলকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। সেগুলি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এই লুটের ঘটনায় ট্যাংরা এলাকারএকটি দুষ্কৃতী চক্র জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদেধৃতেরা জানিয়েছে, আগে থেকে রেকি করে কিংবা নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক এই লুট তারা করেনি। ওই বাড়িটি সম্পর্কে আগে থেকে কোনও তথ্যও তাদের কাছে ছিল না। তবে পুলিশি নজর এড়াতে তারা হেলমেট পরে এসেছিল বলে অভিযুক্তেরা স্বীকার করেছে।
যদিও স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, এলাকা সম্পর্কে না জেনে বহিরাগতদের পক্ষে এমন ঘটনাঘটানো সম্ভব নয়। তাই সুরক্ষার স্বার্থে ওই দুষ্কৃতী দলের স্থানীয় সূত্রখুঁজে বার করা দরকার। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন জনকে ধরা হয়েছে। বাকিরাও দ্রুত ধরা পড়বে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)