Advertisement
E-Paper

এ বার মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রেও ‘দখলদার’ উচ্ছেদ অভিযান, যদুবাবুর বাজার, আলিপুরে সক্রিয় পুলিশ

বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুরে, চিড়িয়াখানার কাছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। যদুবাবুর বাজারে মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের ফুটপাথ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ১১:৪৩
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমকের পর বৃহস্পতিবারও কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের নানা প্রান্তে ‘দখলদার’ উচ্ছেদে নামল পুরসভাগুলি। বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুরে, চিড়িয়াখানার কাছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। যদুবাবুর বাজারে নতুন করে উচ্ছেদ অভিযান না হলেও পুরসভা এবং পুলিশের তরফে মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের ফুটপাথ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। ঘটনাচক্রে, এই দু’টি জায়গাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের অন্তর্গত।

সোমবার নবান্ন সভাঘরে বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান, পুরনিগমগুলির মেয়র এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে রাজ্যের পুর পরিষেবা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় পানীয় জল, আবাসন, পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা থেকে রাস্তা দখল করে অস্থায়ী দোকান নিয়ে সরব হন মমতা। মু্খ্যমন্ত্রীর ধমকের পরেই ‘অ্যাকশন মোডে’ নামে পুলিশ এবং পুরসভা। গড়িয়াহাট, এসএসকেএম হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাথ দখল করে থাকা দোকানিদের সরে যেতে বলে পুলিশ। অভিযান চালানো হয় বিধাননগর পুরসভা চত্বরেও। বিধাননগর পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং সেক্টর ফাইভে বুলডোজ়ার দিয়ে একাধিক দোকানের কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়।

কলকাতার বেশ কিছু এলাকার ফুটপাথের দোকান সরাতে অভিযান চালায় পুলিশ। বেহালা, রাজাবাজার, ইএম বাইপাস, শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে এনআরএস হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকাতেও অভিযান চলে। এ ছাড়াও আনন্দপুর এলাকার খালের ধারে রাস্তা দখল করে রাখা দোকানও সরিয়ে দেওয়া হয়। বেহালা এলাকায় দখলদারি সরাতে ব্যবহার করা হয়েছে বুলডোজ়ার। প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় সোমবার রাতেও অভিযান চালানো হয়।

বুধবার বিকেল থেকেই আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই অভিযান চলে। যদুবাবুর বাজারে দেখা যায়, পুলিশ এক দোকানদারকে রাস্তা থেকে মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করছে। তবে পুলিশ-পুরসভার এই যৌথ অভিযানে ‘অতিসক্রিয়তার’ অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ। রাজ্য জুড়ে চলা ‘দখলদার’ উচ্ছেদ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। ‘দখলদার’ উচ্ছেদের বিরোধিতা করে বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শ, প্রশাসনের তরফে উচ্ছেদে এলে বাধা দিতে হবে। প্রয়োজনে তিনি নিজে বুলডোজ়ারের সামনে দাঁড়াতে রাজি আছেন। ‘দখলদার’ উচ্ছেদ করতে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ‘অমানবিক’ বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু।

এই আবহেই বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে কী নির্দেশ দেবেন, তার দিকে তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই।

Eviction
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy