যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
চূড়ান্ত অর্থসঙ্কটে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। যা জানতে পেরে এগিয়ে এসেছেন প্রাক্তনীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০২ ব্যাচের পড়ুয়ারা তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু করতে উদ্যোগী হয়েছেন। সম্প্রতি তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দেখা করেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে।
পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এঁদের অনেকেই একে অপরকে শেষ দেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রায় ২০ বছর আগে। এ বার তাঁরা একযোগে এগিয়ে এসেছেন নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে। দেশের অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দর থেকে বার বার অভিযোগ উঠছে, কেন্দ্রীয় সাহায্য কিছুই প্রায় আসছে না। দিনে দিনে কমে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের সাহায্যও। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে শিক্ষকদের তরফে অভিযোগ করা হয়, বেতন ছাড়া রাজ্য সরকারের কাছ থেকে চাহিদার ৪০ শতাংশের বেশি অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পঠনপাঠন এবং গবেষণা ভীষণ ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এরই মধ্যে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বার যাদবপুরের ৪২ জন রয়েছেন। এত সাফল্যের মধ্যেও বার বার আর্থিক সঙ্কটের প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০২ ব্যাচের দুই প্রতিনিধি রজত দাশ ও ইন্দ্রনীল হাজরা সম্প্রতি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। রজত এখন ক্যালিফর্নিয়ায় থাকেন। শনিবার তিনি জানালেন, উপাচার্য এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা ওই বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্লাস ও ল্যাবরেটরির পরিকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে আসতে চাইছেন।
দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাঁদের ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে আলোচনা চালাচ্ছেন। আপাতত শুরু হবে ল্যাবরেটরি উন্নয়নের কাজ। ল্যাবরেটরির ওসিলোস্কোপ, ফ্রিকোয়েন্সি অ্যানালাইজ়ার, মাইক্রোমিটারের মতো যন্ত্রের আধুনিকীকরণের কাজ হবে। পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিটি ক্লাসে স্মার্ট ডিজিটাল ডিসপ্লের ব্যবস্থা করারও। সেই সঙ্গে নিজেদের কর্মজগতের অভিজ্ঞতা দিয়ে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করার জন্য মেন্টরশিপের ব্যবস্থাও করা হবে। রজত বললেন, ‘‘যে বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ভিত্তি স্থাপন করল, তার জন্য কিছু করতে পারলে আমরা গর্বিত বোধ করব।’’ রজতদের আশা, তাঁদের এই উদ্যোগ হয়তো অন্য প্রাক্তনীদেরও এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে। বিষয়টি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, ‘‘সারা পৃথিবীতেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উন্নয়নে প্রাক্তনীদের ভূমিকা এখন খুব বড়। আর্থিক সঙ্কট নিয়ে আবেদনের পরে যাদবপুরের প্রাক্তনীরা এগিয়ে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এটি খুবই সদর্থক দিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy