Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পরীক্ষা শেষ হতেই টিচার্স রুমে চকলেট বোমা ছুড়ল পরীক্ষার্থীরা!

সবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। হল থেকে বেরোচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। হঠাৎ স্কুলের সামনে শব্দবাজি ফাটাতে শুরু করল তাদেরই কয়েক জন।

টিচার্স রুমের এই জানলা দিয়েই বোমা ছোড়া হয়, দেখাচ্ছেন শিক্ষিকারা। সোমবার, শ্যামবাজারের এভি স্কুলে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

টিচার্স রুমের এই জানলা দিয়েই বোমা ছোড়া হয়, দেখাচ্ছেন শিক্ষিকারা। সোমবার, শ্যামবাজারের এভি স্কুলে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০০:৫৪
Share: Save:

সবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। হল থেকে বেরোচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। হঠাৎ স্কুলের সামনে শব্দবাজি ফাটাতে শুরু করল তাদেরই কয়েক জন। পরপর চকলেট বোমার শব্দে তখন কান পাতা দায়। শুধু স্কুলের সামনের রাস্তাতেই নয়, পরীক্ষার্থীরা স্কুলের টিচার্স রুমের ভিতরেও সেই বাজি ছোড়ে বলে অভিযোগ। বাজির আগুনের ফুলকিতে এক শিক্ষিকার পায়ের কিছুটা অংশ পুড়েও গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার এই ঘটনাকে ঘিরে শ্যামবাজার এভি স্কুলের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। পরীক্ষা হলের সামনে এই ভাবে বাজি ফাটানোর অভিযোগে কয়েক জনকে আটক করা হয়। পরে অবশ্য তারা ছাড়া পেয়ে গিয়েছে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ দিন ছিল ওই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা। বড়বাজারের তাতিয়া হাইস্কুলের ছাত্রদের সিট পড়েছিল সেখানে। স্কুলের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, হঠাৎ বাজি ফাটতে শুরু করায় তাঁরা জানতে পারেন, পরীক্ষা শেষ হয়েছে বলে ছেলেরা আনন্দ করছে। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকারা হতবাক হয়ে যান সেই ছেলেরা টিচার্স রুমের জানলা দিয়ে চকলেট বোমা ছুড়তে শুরু করায়। সোমা দত্ত নামে এক শিক্ষিকা জানান, একটি চকলেট বোমা ঘরে এসে পড়ে প্রচণ্ড শব্দে ফাটে। সোমাদেবী বলেন, ‘‘আমার সামনেই ফাটে বোমাটি। পুরো ঘর ধোঁয়ায় ভরে যায়। আমার পায়েও আঘাত লাগে।’’

এই ঘটনার পরে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা টিচার্স রুমের জানলা বন্ধ করে দেন। এক শিক্ষিকা জানান, তাঁদের স্কুলে এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে খুব কড়া গার্ড দেওয়া হয়। পরীক্ষা চলাকালীন দু’জন ছাত্রের কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে তাদের সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের আশঙ্কা, কড়া গার্ড দেওয়ার কারণেই এমন ভাবে টিচার্স রুমের ভিতরে বাজি ফাটানো হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জনকুমার রফতান যদিও এ দিনের ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাতিয়া হাইস্কুলে বারবার ফোন করেও কেউ ফোন ধরেননি। তাঁদের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

যে সব স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের সিট পড়েছে, সেই সব স্কুলের সামনে পুলিশের টহলদারি থাকে। শ্যামবাজার এভি স্কুলের সামনেও ছিল শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। পুলিশের সামনে কী ভাবে পরপর চকলেট বোমা ফাটানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের একাংশ। শ্যামপুকুর থানার এক কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার পরেই কয়েক জনকে আটক করা হয়। ওই স্কুলে এ দিন দুপুরে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও ছিল। তাতে যেন কোনও ভাবে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য স্কুলের সামনে পুলিশ বাড়ানো হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকেই রাজ্যে নামছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Examinee Crime Chocolate Bomb Teacher's Room
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE