Advertisement
E-Paper

বায়ুদূষণ কমাতে করণীয় কী, পরামর্শ বিশেষজ্ঞের

এ শহরের বাতাসে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করণীয়, তা ঠিক করতে সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা একটি কমিটি তৈরি করেছে। ভার্গববাবু ওই কমিটির সদস্য। পরিবহণ ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে সম্প্রতি তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণ পুরসভাকে জানিয়েছেন। 

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কলকাতার বাতাসে বিপজ্জনক হারে বাড়ছে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। পরিবেশবিদেরা জানাচ্ছেন, যানবাহনের ধোঁয়া থেকে ছড়ানো দূষণই এর মূল কারণ। দূষণ কমাতে পুরনো গাড়ি বাতিল করার পাশাপাশি রাস্তায় যানজট কমানোটাও অন্যতম জরুরি বিষয় বলে মনে করছেন খড়্গপুর আইআইটি-র বিশেষজ্ঞ ভার্গব মৈত্র। কারণ, রাস্তার যানজট হলে তা থেকে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।

এ শহরের বাতাসে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করণীয়, তা ঠিক করতে সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা একটি কমিটি তৈরি করেছে। ভার্গববাবু ওই কমিটির সদস্য। পরিবহণ ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে সম্প্রতি তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণ পুরসভাকে জানিয়েছেন।

তাঁর মতে, মাত্রাতিরিক্ত যানজট মানুষের মধ্যে ছোট গাড়িতে যাতায়াতের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। কারণ, অনেকেই ভাবেন, ছোট গাড়িতে চড়লে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনো যাবে। এই ধরনের গাড়ির রমরমা বৃদ্ধির ফলেই দূষণ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাই গাড়ির গতিবেগ বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের সংখ্যা কমিয়ে আনার উপরেও বিশেষ ভাবে জোর দিতে চান ভার্গববাবু।

রাস্তায় যানবাহনের গতি বাড়াতে যত্রতত্র উড়ালপুল তৈরির বদলে শহরের পূর্ব-পশ্চিম এবং উত্তর-দক্ষিণে কিছু ‘স্ট্র্যাটেজিক করিডোর’ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ওই রাস্তাগুলি শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দ্রুত পৌঁছতে সাহায্য করবে। নির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত ওই বিশেষ রাস্তাগুলি শহরের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ বরাবর থাকবে। অন্যান্য পরিকাঠামোও সেগুলির উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। এর ফলে ওই নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বাড়বে। সেই সঙ্গে শহরের অন্যান্য রাস্তায় গাড়ির ভিড় কমবে।’’

ভার্গববাবু জানাচ্ছেন, যে শহরে গাড়ির সংখ্যা কম, সেখানেই গণপরিবহণ ব্যবস্থা ভাল বলে ধরে নিতে হবে। এ জন্য ব্যাটারি এবং সিএনজি-চালিত বাসের সংখ্যা বাড়াতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দু’টি বাসের মাঝে সময়ের ব্যবধান কমলেও ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এসি বাস চালু হওয়ার পরে গত কয়েক বছরে যে ভাবে বাসযাত্রী বেড়েছে, তাতে পরিবহণ দফতরও ওই বাসের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহী। ইতিমধ্যেই ৮০টি ব্যাটারিচালিত বাস চালু হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ১৫০টি বাস চালু করতে চায় পরিবহণ দফতর। মেট্রোর সঙ্গে কী ভাবে অন্যান্য গণপরিবহণের সমন্বয় গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে রাইটস কেএমডিএ-কে একটি রিপোর্ট দিয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী বিভিন্ন বাস রুটের পুনর্বিন্যাসের কাজও শুরু করেছে পরিবহণ দফতর। হাওড়া থেকে শিয়ালদহের মধ্যে চক্রাকার রুটে বাস পরিষেবা চালুও ওই পরিকল্পনার অঙ্গ।

গণপরিবহণের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দূষণ সংক্রান্ত বিধিও কঠোর ভাবে বলবৎ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন খড়্গপুর ভার্গববাবু।

Air Pollutiion Health Kolkata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy