ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে বেরনোর সময় গব্বর।—নিজস্ব চিত্র।
নয়ের দশকের গব্বর এখন অতীত। এমনটাই দাবি গব্বরের পরিবারের। মধ্য কলকাতার ওই ডন রশিদ আলম ওরফে গব্বরকে সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় নতুন একটি তোলাবাজির মামলায়।
পুলিশের অভিযোগ, বড়তলা থানা এলাকার এক ব্যবসায়ীকে গত ৪ ডিসেম্বর ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা তোলা দাবি করে এক সময়ের কলকাতার ত্রাস গব্বর। আলিপুর জেল থেকে ফোন করে চেতন সিংহ নামে ওই ব্যবসায়ীকে টাকার দাবি করে সে। অভিযোগ, টাকা না পেলে খুনের হুমকিও দিয়েছিল গব্বর।
ওই মামলায় জেল থেকে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা তাকে আদালতে পেশ করে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নেওয়ার আবেদন করেন। সেই সময় আদালত চত্বরে ছিলেন গব্বরের মা, বোন এবং দুই ভাই। মধ্য কলকাতার উমা দাস লেনের বাসিন্দা গব্বরের পরিবার। তার বোন সোফিয়া আলম দাবি করেন, গব্বর আর আগের মতো নেই। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে তাঁর দাদাকে। ৫ লাখ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সোফিয়া বলেন,“গব্বর নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। ও দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ জগতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। টানা ১৭ বছর জেলবন্দি আমার দাদা। জেলেও ওর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাবেন না।” তিন ভাই, তিন বোনের মধ্যে গব্বর বড়। তার মেয়ে এখন একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অন্য দুই ভাই রেডিমেড জামাকাপড়ের ব্যবসা করেন।সোফিয়ার দাবি, যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত হলেও, জেল জীবনে ভাল ব্যবহারের জন্য গব্বরের সাজার মেয়াদ অনেকটাই কমে যাওয়ার কথা। সোফিয়ার কথায়,“গব্বর চুহা নেহি মারতা।”
আরও পড়ুন: সংঘাতের জের, শেষ পর্যন্ত ইস্তফাই দিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেল
আরও পড়ুন: বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিল ব্রিটেনের আদালত
অন্যদিকে, গব্বরের আইনজীবী লোকেশ শর্মা বলেন,“আমরা আদালতকে বলেছি ওই দিনের জেলের রেজিস্টার আদালতে পেশ করতে। যে সময়ে ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ, সেই সময় কে কোথায় ছিল তা কারা কর্তৃপক্ষ জানাক।” তবে এ দিন সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, গব্বর এবং রমেশ মাহাতো নামে হুগলির অন্য এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী দু’জনে মিলে ওই ব্যবসায়ীকে হুমকি দেয় এবং টাকার দাবি করে। তিনি গব্বরকে জেরা করার জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চান। মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন দু’জনকেই। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান প্রবীন ত্রিপাঠি বলেন,“দু’জনকে আমরা হেফাজতে পেয়েছি। তাদের জেরা করা হবে। তাদের শাগরেদরা কে কোথায় আছে তা জানার চেষ্টা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy