শরীরে কোভিডের উপসর্গ ছিল। তার জেরে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা গেল না ৭১ বছরের এক বৃদ্ধের। পচন রুখতে ফ্রিজারে দেহ রাখতে হল পরিবারকে। দু’দিন বাদে বুধবার দুপুরে ওই বৃদ্ধের দেহ নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে কলকাতা পুরসভা। তত ক্ষণে যদিও কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে মোহন মল্লিক নামে ওই বৃদ্ধের।
আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার ৯৬-এ রাজা রামমোহন রায় সরণির একটি আবাসনে পাঁচতলার বাসিন্দা ছিলেন মোহন মল্লিক। কয়েকদিন আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর ভাইপো অক্ষয় মল্লিক এ দিন বলেন, ‘‘আমরা অসুস্থ কাকাকে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। তিনি কোভিড পরীক্ষার পরামর্শ দেন।” এর পর সোমবার সকালে একটি বেসরকারি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করান মোহনবাবু। কিন্তু বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরিবারের দাবি, ওই দিন বেলা ৩টে নাগাদ তিনি মারা যান বাড়িতেই। এর পর ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য প্রথমে মোহনবাবু যে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন, তাঁকে খবর দেয় পরিবার। সেই চিকিৎসক পিপিই কিট পরে এসে মোহনবাবুর দেহ পরীক্ষা করে দেখেন। কিন্তু মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে রাজি হননি। মোহনবাবুর পরিবারকে তিনি জানান, রোগীর দেহে কোভিডের উপসর্গ ছিল। তাই যত ক্ষণ না রিপোর্ট আসছে, তত ক্ষণ শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব নয়।
ওই একই আবাসনের বাসিন্দা পুরঞ্জিৎ শীল। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসকের পরামর্শে স্থানীয় থানাতে যোগাযোগ করে পরিবার। কিন্তু থানা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে।” পরিবারের অভিযোগ, পুরসভা জানায়, তাঁরা কিছু করতে পারবে না। যা করার স্বাস্থ্য দফতর করবে। পরিবার স্বাস্থ্য দফতরের হেল্প লাইনে ফোন করেন। কিন্তু অভিযোগ, সেই ফোন কেউ ধরেননি। পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে। তারা দফতরের দুই আধিকারিকের নম্বর দিয়ে জানায়, মৃতের রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁদের যোগাযোগ করতে।