Advertisement
E-Paper

নির্যাতিতাকে ‘হুমকি’ অভিযুক্তের পরিবারের

পাল্টা অভিযোগও তোলা হয় যে, ওই নাবালিকা ও তার পরিবার নারায়ণকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়েছে। নারায়ণ সর্দারের এক মেয়ে বলেন, ‘‘বাবা এমন কোনও কাজ করেননি।

দীক্ষা ভুঁইয়া

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০১:২৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

এক অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল অভিযুক্তের পরিবারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, গত শনিবার টালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার বাবা-মা। তার ভিত্তিতে পুলিশ বাওয়ালি মণ্ডল রোডে নাবালিকার পাশের বাড়ির বাসিন্দা নারায়ণ সর্দারকে (৫৫) গ্রেফতার করে। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেই নারায়ণ সর্দারের বাড়ির লোকজন থানার সামনে জড়ো হয় এবং অভিযোগকারিণীর পরিবারকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিতে শুরু করে।

পাল্টা অভিযোগও তোলা হয় যে, ওই নাবালিকা ও তার পরিবার নারায়ণকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়েছে। নারায়ণ সর্দারের এক মেয়ে বলেন, ‘‘বাবা এমন কোনও কাজ করেননি। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ যদিও নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে, গত শনিবার রাত থেকে বারবার অভিযুক্তের পরিবারের থেকে হুমকি পেয়ে ভয়ে তাঁরা মেয়েকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাতেও ভয় কাটছে না।

ওই নাবালিকা জানিয়েছে, গত নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ তার জ্বর হয়। তা সারাতে ‘ঝাড়ফুঁকের’ জন্য তার ঠাকুরমা তাকে পাশের বাড়ির নারায়ণের কাছে পাঠান। তখনই নারায়ণ ওই নাবালিকার গোপনাঙ্গে হাত দেয়। হুমকিও দেয় বাড়িতে যেন এ বিষয়ে কিছু না বলে সে!

নাবালিকার দাবি, ভয়ে সে কাউকে ঘটনাটি জানায়নি। আর তারই সুযোগ নেয় নারায়ণ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ জানুয়ারি বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে নারায়ণ ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এমনকী বেরোনোর সময়ে হুমকি দেয়, কাউকে কিছু জানালে মেয়েটির বাবা-মা-ভাইয়ের ক্ষতি হবে। অভিযোগ, এর পরে আরও চার-পাঁচ বার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই প্রৌঢ়। পরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ায় ধরা পড়ে সে অন্তঃসত্ত্বা!

বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকার এক আত্মীয় জানান, ১১ বছরের মেয়েটি দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনা জানাজানির পর থেকে পুলিশ, হাসপাতালের চক্করে মেয়েটির স্কুলে যাওয়াও বন্ধ।ভয়ে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে। আপাতত তাঁরা আইনি পথে মেয়ের গর্ভপাত করাতে নতুন আবেদন নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাই ভাবছেন।

পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা মেয়েটির গোপন জবানবন্দির (১৬৪) জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। তা মঞ্জুর হয়েছে। এটি শেষ হলেই বাকি প্রক্রিয়াগুলির জন্য শিশুকল্যাণ সমিতির কাছে আবেদন জানাব।’’ বৃহস্পতিবারই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

কলকাতা শিশুকল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন শবনম রামস্বামী বলেন, ‘‘গর্ভপাতের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য পুলিশকে বলেছি গোপন জবানবন্দি শেষ হলেই দ্রুত ওই নাবালিকাকে নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।’’

victim Accused family Threat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy