প্রায় দেড় বছর আগে ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট সেতু। কিন্তু সেই মামলার চার্জশিট বা চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েনি এখনও। পুলিশের বক্তব্য, সেতু ভাঙার বিষয়ে চার্জশিট জমা দেওয়ার জন্য ন্যাশনাল টেস্ট হাউসের রিপোর্ট প্রয়োজন। সম্প্রতি তা এসেছে। সেই রিপোর্টের সঙ্গে আইআইটি-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেওয়া হবে। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট সেতু।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ন্যাশনাল টেস্ট হাউসের রিপোর্টে সেতু ভাঙার কারণ হিসেবে একটি কোনও কারণের উল্লেখ করা হয়নি। তার বদলে সেতুর ওজন বৃদ্ধি, বয়স, গাড়ির চাপ বৃদ্ধি, সেতুর স্তম্ভের ক্ষেত্রে মাটির চরিত্র বদল-সহ বেশ কয়েকটি কারণের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও কারণের কথা বলা হয়নি।
পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, যে হেতু নির্দিষ্ট কোনও কারণের কথা বলা হয়নি, তাই চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া জরুরি। সেই রিপোর্টে কাউকে অভিযুক্ত করা হবে কি না, তা-ও নিশ্চিত নয়। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, পোস্তার নির্মীয়মাণ উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ঘটনায় অবশ্য গত বছরের শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট তদন্তকারীরা আদালতে জমা দিয়েছেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে, ৩১ মার্চ ওই নির্মীয়মাণ উড়ালপুল ভেঙে পড়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ২৬ জন। এর আগে দু’টি চার্জশিটে নির্মাণকারী সংস্থার ১০ জন এবং কেএমডিএ-র দু’জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। চূড়ান্ত চার্জশিটে আরও পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭।