Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দফতরে আগুন

অফিসে ঢুকেই আগুনের আতঙ্কে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিয়ালদহের ক্রিকরো-তে।

আগুনে ভস্মীভূত আইএমএ-র দফতর। স্বাতী চক্রবর্তীর তোলা ছবি।

আগুনে ভস্মীভূত আইএমএ-র দফতর। স্বাতী চক্রবর্তীর তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৫ ১৪:০৬
Share: Save:

অফিসে ঢুকেই আগুনের আতঙ্কে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিয়ালদহের ক্রিকরো-তে।

খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল সূত্রে খবর, চারতলা বাড়িটির নীচতলায় চক্ষু বিভাগের ঘরেই আগুন ছড়ায় বাড়িটিতে। ওই ঘরে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের যান্ত্রিক গোলযোগ থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে দমকল কর্তাদের অনুমান। বাড়িটিতে আইএমএর বিভিন্ন বিভাগের অফিস রয়ছে।

আগুন লাগার আগেই সকাল দশটা নাগদ বাড়িটির বিভিন্ন তলে থাকা অফিসের কর্মীরা ঢুকে যান। আচমকাই তাঁরা দেখতে পান বাড়িটির নীচতলা থেকে গলগল করে কালো ধোঁওয়া বের হচ্ছে। আতঙ্কে তাঁদের অনেকে উঠে যান বাড়ির ছাদে। কেউ আবার নেমে আসেন রাস্তায়। দমকল কর্মীরা বাড়িটির ছাদ থেকে আট জনকে উদ্ধার করেন।

এই বাড়ির তিন তলায় ইন্ডিয়ান মেডিকেল জার্নাল বিভাগে কাজ করেন ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কালো ধোঁওয়া দেখে আমরা নীচে নেমে আসি। আর বেশ কিছু কর্মী উপরে উঠে যান। দমকলের জন্যই আজ আমরা প্রাণে বেঁচেছি।’’ একই বক্তব্য ওই বিভাগের আর এক কর্মী অরুণাভ লাহিড়ীর।

চক্ষু বিভাগের পাশেই ওই বাড়ির নীচে কম্পিউটার, টিভি সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের একটি গুদাম রয়েছে। দমকল কর্তারা জানান, ওই গুদাম সহ চক্ষু বিভাগের কার্যালয়ে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থায় অনেক গলদ রয়েছে। তাই আগুন যে কোনও মুহুর্তে বড় আকার নিতে পারতো।

স্থনীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক সময় ওই বাড়িতে থাকা বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা আলো, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বন্ধ না করে চলে যান। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘প্রায়ই আমরা সারা রাত ধরে এই বাড়ির বিভিন্ন ঘরে আলো জ্বলতে দেখি। কখনও সারা রাত ধরে এসি মেশিনও চলে।’’ তবে ওই বাড়িতে কর্তব্যরত বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দের এই অভিযোগ মানতে রাজি নন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এই রকম হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রতিটি বিভাগেই ঘরের আলো, এসি মেশিন বন্ধের জন্য নির্দিষ্ট লোক রয়েছে। তাঁরা রোজ ওই কাজটা করেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ima indian medical association office fire
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE