Advertisement
E-Paper

খিদিরপুর অগ্নিকাণ্ড: ‘জীবন বাজি রেখে দমকলবাহিনী কাজ করে’! গাফিলতির অভিযোগে জবাব মন্ত্রীর

রবিবার মধ্যরাতে আগুনের গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজারের অন্তত ১৩০০ দোকান। রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫ ১২:৫৭
Fire Minister Sujit Basu responds to allegations of negligence by the fire brigade in the Khidirpur fire incident

খিদিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে দমকলবাহিনীর গাফিলতির অভিযোগের জবাব দিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

খিদিরপুর অগ্নিকাণ্ডে দমকলবাহিনীর গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল! অনেকেই দাবি করেন, সময়মতো দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়নি। মঙ্গলবার বিধানসভায় সেই অভিযোগের জবাব দিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, জীবন বাজি রেখে দমকলবাহিনী আগুন নেবানোর কাজ করে। তাদের সম্মান করুন!

রবিবার মধ্যরাতে খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজারে আচমকা আগুন লেগে যায়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়েরাই প্রথমে আগুন নেবানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তা সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দমকলের ২০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, থানা এবং দমকলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু দমকল দেরিতে আসে। আগুন লাগার অন্তত দু’ঘণ্টা পরে তা নেবানোর কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার বিধানসভায় দমকলের গাফিলতির অভিযোগের প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানেই সুজিত দমকলবাহিনীর কাজ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেন। একই সঙ্গে কী ভাবে খিদিরপুরের অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলা করা হয়েছে, তা-ও জানান।

সুজিতের কথায়, ‘‘সেনাবাহিনী যেমন দেশের নিরাপত্তার জন্য জীবন বাজি রেখে কর্তব্য পালন করে, তেমনই আগুন নেবানোর জন্য দমকলবাহিনীও নিজেদের জীবন বাজি রাখে। গত বছর আগুন নেবাতে গিয়ে চার জন দমকলকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। হাওড়ার বালিতে আগুন নেবাতে গিয়ে এক জন দমকলকর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্টও হন। দমকলবাহিনীর কাজকে সম্মান করুন। তাঁরা সম্মান পাওয়ার যোগ্য। আমি গত ছ’বছর তাঁদের কাজ প্রত্যক্ষ করছি।’’

খিদিরপুরের অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলা প্রসঙ্গে সুজিত বলেন, ‘‘রাত ২টো ৫ মিনিট নাগাদ ফোন পেয়েই দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। রাত ৩টে নাগাদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আমাকে ফোন করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান। আমি সকালেই পৌঁছোই। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।’’ তার পরেই সুজিত দাবি করেন, ‘‘যাঁরা বলছেন দমকলের কাছে জল ছিল না, তা একে বারেই সত্যিই নয়। আদিগঙ্গা থেকে আমরা জল নিয়েছিলাম। সেখানে কিছু পলি চলে আসায় সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু জলের অভাব বা দমকলবাহিনীর তাগিদ কোনওটাই কম ছিল না।’’

রবিবার মধ্যরাতে আগুনের গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজারের অন্তত ১৩০০ দোকান। কিছু দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে, কিছু দোকান আংশিক। সব দোকানের ব্যবসায়ীকে জন্যই ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার খিদিরপুরের ভস্মীভূত এলাকা পরিদর্শনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার, প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং স্থানীয় বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহ।

Fire Incident Kolkata Fire Incident Sujit Basu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy