‘বাইরে তত ক্ষণে ভিড় জমে গিয়েছিল, টের পাচ্ছিলাম বেশ। ক্রমে খবর পেয়ে পুলিশ এল।’ — নিজস্ব চিত্র।
বাড়ি থেকে যখন বেরিয়েছিলাম, বুঝতেও পারিনি রমজানের বিকেলে এত ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে। ইদ আসছে। ধর্মতলায় কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলাম। তবে শনিবারের বিকেলে সাক্ষাৎ মৃত্যুকে দেখলাম।
মেটিয়াবুরুজে থাকি। শনিবার বিকেলে ওখান থেকেই হাওড়াগামী ওই মিনিবাসে উঠেছিলাম। প্রথমে ঠিকঠাকই চলছিল বাস। যদিও খুব ভিড় ছিল। অনেক যাত্রী দাঁড়িয়েই ছিলেন। আমি কোনও মতে একটা জায়গা পেয়ে বসেছিলাম। এর পর ফাঁকা রাস্তা পেয়ে ক্রমেই গতি বাড়াতে থাকে মিনিবাস।
ধর্মতলার মেয়ো রোডের কাছে বাসের সামনে পড়ল একটি বাইক। বাইকটিকে ওভারটেক করতে গিয়েই উল্টে যায় বাস। বিকেল তখন প্রায় ৪টে ৪২। ভিতরে তখন অত যাত্রী একে অন্যের ঘাড়ে এসে পড়েন। প্রথমে এতটাই ভয় পেয়ে যাই, যে কী হয়েছে বুঝতেই পারিনি। পরে যখন বুঝতে পারি, তখন দেখি আমার উপরেও কয়েক জন এসে পড়েছেন। খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল। এমন ভাবে বাসটি পড়েছিল যে, সেখান থেকে কেউ বার হতে পারছিলাম না।
বাইরে তত ক্ষণে ভিড় জমে গিয়েছিল, টের পাচ্ছিলাম বেশ। ক্রমে খবর পেয়ে পুলিশ এল। বাসের পিছন আর সামনের কাচ ভেঙে একে একে বার করা হয় আমাদের। তার পর এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার কাঁধে, মাথায় চোট লেগেছে। চিকিৎসকেরা ব্যান্ডেজ বেঁধে দিয়েছেন। খবর পেয়ে বাড়ি থেকে ছুটে আসেন দু’জন। তাঁরাই হাসপাতাল থেকে আমাকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন এখন। ওদের মুখেই শুনলাম এক জন মারা গিয়েছেন। দু’জনের অবস্থা খুবই খারাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy