ফাইল চিত্র।
রাজ্য মৎস্য দফতরের ফিশারিজ এক্সটেনশন অফিসার পদের ৬০ শতাংশ আসনে মৎস্যবিজ্ঞানের পড়ুয়াদের সরাসরি নিয়োগ করা হবে। বাকি ৪০ শতাংশ আসন পূর্ণ হবে ফিশারিজ ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্টদের পদোন্নতি দিয়ে। আগে অফিসার পদের ৭৫ শতাংশ আসনে মৎস্যবিজ্ঞানের পড়ুয়াদের সরাসরি নিয়োগ হতো। বছর দেড়েক আগের ওই সরকারি বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে সম্প্রতি অনশন শুরু করেছেন রাজ্যের প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের গড়িয়া ক্যাম্পাসের পড়ুয়ারা। এর জেরে এক সপ্তাহ ধরে পড়াশোনা বন্ধ। থমকে গিয়েছে গবেষণা। পড়ুয়ারা পরীক্ষাও বয়কট করেছেন। অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিন ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার পাঠানো হয়েছে। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ পড়ুয়াদের দাবি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
গড়িয়া ক্যাম্পাসের ছাত্র সম্পাদক বিপ্লব সাহা বলেন, ‘‘ফিশারিজ ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্টরা তিন বছরের বৃত্তিমূলক কোর্স পাশ করেন। আমাদের চার বছরের স্নাতক কোর্স করতে হয়। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এই দুই শ্রেণির পড়ুয়াদের এক করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।’’ পড়ুয়াদের তরফে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে বিজ্ঞপ্তি বাতিল না হলে লাগাতার অনশন শুরু হবে।
পড়ুয়াদের দাবিকে সমর্থন করেছেন বিভাগীয় ডিন বিপুলকুমার দাস। তাঁর কথায়, ‘‘এক মাত্র মৎস্যবিজ্ঞান নিয়ে উত্তীর্ণ পড়ুয়ারাই রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকের ফিশারিজ এক্সটেনশন অফিসার পদে চাকরি পাওয়ার যোগ্য। তা ছাড়া মৎস্যবিজ্ঞান নিয়ে পাশ করার পরে অন্যান্য সরকারি পদে চাকরির সুযোগ বেশি নেই।’’ প্রায় একই মত উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাসেরও। তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের দাবি অনুযায়ী মৎস্য দফতরের বিজ্ঞপ্তি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।’’ চন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের দাবি মেনে বিজ্ঞপ্তি পুনর্বিবেচনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy