Advertisement
E-Paper

পাঁচটি বাড়িই এখন সমস্যা ইস্ট-ওয়েস্টের

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০০
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য এই মুহূর্তে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিটে। কিন্তু সেই কাজে কিছুটা হলেও সমস্যার সৃষ্টি করেছে পাঁচটি জীর্ণ বাড়ি। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ করেও ওই পাঁচ বাড়ির স্বাস্থ্য নিয়ে সংশয়ে মেট্রোকর্তারা। সুড়ঙ্গ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের দাবি, খুব সাবধানে এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)। প্রসঙ্গত, মেট্রোর কাজের জন্য জীর্ণ বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে সাময়িক ভাবে হোটেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু কাজের গতি কমে যাওয়ায় বাড়াতে হয়েছে হোটেলে রাখার মেয়াদও।
দু’দফায় প্রায় ১৪ দিন ওই মেয়াদ বেড়েছে। দ্বিতীয় দফায় গত শনিবার ৩৫ জন বাসিন্দাকে হোটেল থেকে ফিরিয়ে আনার কথা থাকলেও তাঁদের বাড়ি ফেরার সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সূত্রের খবর, বাসিন্দাদের হোটেলে রাখার মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় সুড়ঙ্গ নির্মাণ সংস্থার প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচ হতে পারে।

মেট্রো সূত্রের খবর, পশ্চিম প্রান্তের সুড়ঙ্গ প্রায় রাজভবনের সীমানার কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও পূর্ব প্রান্তের সুড়ঙ্গ (গ্রেট ইস্টার্নের দিকে) নিয়ে খানিকটা ধীরে এগোতে হচ্ছে। গত বছরের জানুয়ারিতে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরুর আগেই ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাঁচটি বাড়িকে জীর্ণ এবং বিপজ্জনক ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুরসভা।

পাঁচটির মধ্যে দু’টি বাড়িতে প্রায় ৩৫ জন বাসিন্দা আছেন। এ ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু দোকান এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। মেট্রো সূত্রের খবর, বাসিন্দাদের সাময়িক ভাবে হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে দোকান বন্ধ রাখতে।
সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে দেরির জন্য তাঁদের একাংশ কিঞ্চিৎ ক্ষুব্ধ। তবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোকর্তাদের আশা, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মাঝরাতের আগেই ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিটের জীর্ণ বাড়িগুলির অংশ পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

যদিও সুড়ঙ্গ খোঁড়ার পরে তার উপরের অংশের মাটি কিছুটা বসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রযুক্তির ভাষায় এই ঘটনাকে বলে ‘সেট্লমেন্ট’। কোথাও সেট্‌লমেন্টের হার বেশি হলে ঘর-বাড়ি বা রাস্তাঘাট সহ অন্য পরিকাঠামোর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চেষ্টা করা হয়, যাতে ওই হার কয়েক মিলিমিটারের মধ্যে থাকে। মেট্রো সূত্রের
খবর, সেট্‌লমেন্টের হার কমাতে ‘গ্রাউটিং’ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ওই পাঁচটি বাড়িকে প্রতি মুহূর্তে নজরে রাখা হচ্ছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) এ কে নন্দী বলেন, ‘‘বাড়িগুলি খুবই জীর্ণ। আমাদের দিক থেকে সব রকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী সোমবারের মধ্যে ওই অংশ অতিক্রম করা সম্ভব হবে।’’

Kolkata Metro East west metro কলকাতা মেট্রো
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy