ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই বাঘা যতীন উড়ালপুলের ধস নামা অংশ সারানোর কাজ শুরু হয়ে গেল। এ দিন কেএমডিএ-র এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি মাটি থেকে বেশ কিছুটা উঁচুতে। তাই আটঘাট বেঁধে কাজে নামতে হয়েছে কর্মীদের। কেএমডিএ-র এক বিশেষজ্ঞ দল ওই কাজ করছে। সে ক্ষেত্রে ওই সময়ে উড়ালপুল দিয়ে যান চলাচল কি বন্ধ রাখা হচ্ছে?
কেএমডিএ-র ওই ইঞ্জিনিয়ার জানান, ধস নামা অংশ সারানোর সময়ে পাশ দিয়ে যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে, সে চেষ্টা চলছে। তিনি জানিয়েছেন, পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী যন্ত্রপাতি চলার ফলেই তার কম্পনে বাঘা যতীন উড়ালপুলে ধস নেমে থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ। পুরনো সেতুতে এমন ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে থাকে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ জাতীয়
ধসকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাষায় ‘রাপচার’ বলা হয়। বিশেষ ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ওই
ধস নামা অংশ মেরামতি করা বড় কোনও কঠিন কাজ নয় বলে জানান ওই ইঞ্জিনিয়ার।
এ দিকে, ওই উড়ালপুল সারাই নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই সেতু সারাইয়ের ব্যাপারে কেএমডিএ এখনও নিজেদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনও কথা লালবাজারকে জানায়নি। তবে মেরামতির কাজ শুরু করা হলে ওই উড়ালপুলের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের একটি লেন দিয়ে এক সপ্তাহের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ঠিক করেছে, ওই সময়ে ই এম বাইপাসের গড়িয়ামুখী যানবাহন বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে বাঘা যতীন রেল ব্রিজের গড়িয়ামুখী দিকে প্রায় সাড়ে চার বর্গফুট এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। উড়ালপুলের নীচের দিকের বড় একটি সিমেন্টের চাঙড় ভেঙে পড়ে। এই ঘটনার ফলে বুধবার বিকেল থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল ই এম বাইপাসের অজয়নগর থেকে পাটুলি পর্যন্ত গাড়ির যাতায়াত।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই অংশের জন্য বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বাঘা যতীন এলাকার রাস্তায় যানজট হয়েছিল। তবে তা ব্যাপক আকার নেয়নি। বিকেলেও যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি কেএমডিএ টিন দিয়ে ঘিরে রেখেছে। আপাতত তার পাশ দিয়েই একটি লাইনে গাড়িগুলি যাতায়াত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy