Advertisement
E-Paper

নিয়োগকাণ্ডে ফের ইডি দফতরে দক্ষিণ দমদমের প্রাক্তন পুরপ্রধান, হাজির কী কারণে, জানালেন তা-ও

শুক্রবার সকালে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে যান দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান পাচু রায়। কী কারণে তিনি ইডি দফতরে এসেছেন, তা-ও জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৯
Former Chairman of South Dumdum Pachu Roy appeared in ED office of Kolkata

ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্স। —ফাইল চিত্র।

ফের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান পাচু রায়। শুক্রবার সকালে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি। কী কারণে তিনি ইডি দফতরে এসেছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তল্লাশির পরে ইডি কিছু নথি নিয়ে এসেছিল। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এর আগেও সিজিওতে গিয়েছেন পাচু। তখন ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের সূত্রে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। রাজ্যে এই মুহূর্তে অনেকগুলি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। তার মধ্যে একটি হল পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্র ধরে প্রমোটার অয়ন শীলের নাম প্রকাশ্যে আসে। ঘটনার সূত্রপাত গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখ। সল্টলেকে অয়নের অফিস এবং হুগলিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সময় দিস্তা দিস্তা ওএমআর শিটের পাশাপাশি, ২৮ পাতার একটি নথি পান তদন্তকারীরা। আপাতদৃষ্টিতে তা প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায় ওই নথির মধ্যে রয়েছে একাধিক পুরসভার প্রার্থী তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। বাজেয়াপ্ত সেই নথির মধ্যে প্রার্থী তালিকায় থাকা নামের পাশে বেশ কিছু ‘কোর্ড ওয়ার্ড’ পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

বাজেয়াপ্ত ২৮ পাতার নথির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগের সংক্রান্ত প্যানেলের প্রার্থীর তথ্যাবলি। উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম-সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্যও রয়েছে ইডির হেফাজতে থাকা ওই নথিতে। পুরসভাগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার, মজদুর, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্লার্ক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার, হেল্পার, ড্রাইভার-সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশের তালিকাও ওই নথিতে রয়েছে।

সেই সুপারিশ কে বা কারা করেছেন, সেই তথ্য জানতে গিয়েই ‘কোড’ নামের রহস্যভেদ হয়েছে বলে ইডির দাবি। তদন্তকারীদের আরও দাবি, সাঙ্কেতিক নামের আড়ালেই ছিল সুপারিশকর্তার নাম। সেখানে যেমন মন্ত্রীর নাম রয়েছে, তেমনই সাঙ্কেতিক শব্দে কোথাও ‘অয়নের’ নাম রয়েছে। কোনও ‘কোড’-এর আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘চেয়ারম্যান’ শব্দটি। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বলতে সংশ্লিষ্ট পুরসভার চেয়ারম্যানকে বোঝানো হয়েছে বলেই তদন্তকারীদের দাবি।

Municipality Recruitment Case ED CGO Complex
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy