Advertisement
E-Paper

ভুয়ো পুরকর্তার খপ্পরে সাড়ে সাত  লক্ষ খোয়ালেন চার প্রোমোটার

নিজেকে উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বলে পরিচয় দিয়ে হাওড়ার চার জন প্রোমোটারের কাছ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক জালিয়াতের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১৩
হাওড়ার চার জন প্রোমোটারের কাছ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক জালিয়াতের বিরুদ্ধে।

হাওড়ার চার জন প্রোমোটারের কাছ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক জালিয়াতের বিরুদ্ধে। ফাইল চিত্র।

নিজেকে উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বলে পরিচয় দিয়ে হাওড়ার চার জন প্রোমোটারের কাছ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক জালিয়াতের বিরুদ্ধে। ওই প্রোমোটারদের অভিযোগ, নিজেকে উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস বলে পরিচয় দিয়ে ফোনে আলাপ জমিয়েছিল এক ব্যক্তি। সে বলেছিল, পাঁচ বিঘার একটি জমিতে পিপিপি মডেলে প্রকল্প তৈরি হবে। সেখানে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করেই ‘সিকিয়োরিটি মানি’ হিসাবে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা নগদ হাতিয়ে নেয় ওই জালিয়াত। তার পরে বেপাত্তা হয়ে যায়।

প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যানকে গোটা ঘটনা জানানোর পরে তিনিই ওই প্রোমোটারদের বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘এমন ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এ বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।’’

পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার দুপুরে ওই জালিয়াত মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মধ্য হাওড়ার বাসিন্দা অরুণাভ কর নামে এক প্রোমোটারকে তাঁর অফিসে ফোন করে। তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময়ে ওই ব্যক্তি জানায়, সে হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী-সহ জেলার তৃণমূল নেতাদের অনেকেরই ঘনিষ্ঠ। অরুণাভ জানান, উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বলে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে শনিবারের পর থেকে তাঁর দফায় দফায় কথা হয়। সেই ব্যক্তি বার বার তাঁকে নগদ সাড়ে সাত লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে বলে। প্রথমে রাজি না হলেও পরে বড় আবাসন প্রকল্পের কাজ পাওয়ার আশায় এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ওই টাকা নিয়ে পুরসভার কলাবাগান হাসপাতালের কাছে পৌঁছন অরুণাভ-সহ চার জন প্রোমোটার।

অরুণাভ বলেন, ‘‘সেখানে এক যুবক নিজেকে চেয়ারম্যানের ভাগ্নে বলে পরিচয় দিয়ে আমাদের সঙ্গে দেখা করে। সে বলে, ‘মামা পাঠিয়েছে। টাকাটা দিন।’ ওই যুবকের হাতে টাকা দেওয়ার পরেই সে জানায়, পুরসভার রসিদ নিয়ে আসছে। এর পরেই সে উধাও হয়ে যায়। আর ফেরেনি।’’ তখনই চার প্রোমোটার বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। এর পরে সকলে মিলে উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন। তিনি বিষয়টি জানার পরে তাঁদের বিমানবন্দর থানায় গিয়ে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। তিনিও প্রতারকদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন পুলিশকে।

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই প্রতারকেরা ধরা পড়ে যাবে।’’

Fraud Case Promoters Dum Dum municipality
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy