Advertisement
E-Paper

চাকরির নামে টাকা নিয়ে ‘প্রতারণা’

পুলিশ জানায়, ওই সংস্থার কার্যালয় পিকনিক গার্ডেনের বিএসএনএল কার্যালয়ের কাছে। প্রার্থীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ২১৯ ডি পিকনিক গার্ডেন রোডে একটি বাড়ির চারতলায় ঘর ভাড়া নিয়ে সংস্থাটি প্রতারণার কারবার ফেঁদেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ০২:১৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বেসরকারি একটি সংস্থার বিরুদ্ধে বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে কসবা থানায়। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে পাসপোর্ট ও মোটা অঙ্কের টাকা।

পুলিশ জানায়, ওই সংস্থার কার্যালয় পিকনিক গার্ডেনের বিএসএনএল কার্যালয়ের কাছে। প্রার্থীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ২১৯ ডি পিকনিক গার্ডেন রোডে একটি বাড়ির চারতলায় ঘর ভাড়া নিয়ে সংস্থাটি প্রতারণার কারবার ফেঁদেছিল। টাকা হাতানোর পরে অফিস বন্ধ করে পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছে প্রতারকেরা। পুলিশের অনুমান, প্রতারিতের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে যেতে পারে। পুলিশ জানায়, জনৈক সুজয়, সমীর, বৈষ্ণবী, বিনয়-সহ আরও কয়েক জন প্রতারণা চক্রের সদস্য বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তাদের খোঁজ শুরু করেছে কসবা থানার পুলিশ।

পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার সুমন বেরা, উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার বৈকুণ্ঠ বিশ্বাস, উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার প্রণবাংশুকুমার প্রসাদ-সহ বেশ কয়েক জন সংস্থাটির বিরুদ্ধ‌ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রত্যেকেরই পাসপোর্ট জমা নিয়ে কয়েক হাজার টাকা অগ্রিম নেওয়া হয়েছে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে। প্রার্থীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, আবুধাবি, ওমান, কাতার, আয়ারল্যান্ড, দুবাই-সহ বিভিন্ন দেশে পাকা চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। প্রার্থীরা পুলিশকে আরও জানান, তাঁদের বলা হয়েছিল, ওই সব দেশে গাড়িচালক, ইলেট্রিসিয়ান, এসি মেশিন মেরামতি ডিজেল ও পেট্রল মেকানিক-সহ বিভিন্ন পদে দু’বছরের চুক্তিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এ-ও বলা হয়, দৈনিক আট ঘণ্টার কাজ, প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ছুটি থাকবে। যে সংস্থায় কাজ হবে তারা নিখরচে থাকতে ও খেতে দেবে। কর্মস্থলে যাতায়াতের ব্যবস্থাও করবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা বৈকুণ্ঠ বিশ্বাস শনিবার জানান, ওই সংস্থাটি গত নভেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেখানে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁকে বলা হয় প্রথমে কলকাতায় তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে। ওই পরীক্ষার পরে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়। তার পরে তাঁকে বলা হয় আবুধাবিতে তাঁর কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চাকরির ‘অফার লেটার’-ও দেওয়া হয় ওই যুবককে। এর পরে পাসপোর্ট জমা নিয়ে সংস্থার এক কর্তা বৈকুণ্ঠকে জানান, ভিসা ও বিমানের টিকিট বাবদ ৩৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে বৈকুণ্ঠ সংস্থার কার্যালয়ে গিয়ে দেখেন, অফিস ঘরের দরজায় তালা লাগানো।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, কোনও প্রার্থীর কাছ থেকে হাতানো হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা, কারও কাছ থেকে ৬০ হাজার বা ৪০ হাজার টাকা। ধাপে ধাপে টাকা দিয়েছেন প্রার্থীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে প্রার্থীদের অনেকেই টাকা জমা দিয়েছেন। জনৈক সুজয় রায় টাকার রসিদে সই

করেছেন বলেও প্রতারিত প্রার্থীদের অভিযোগ। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, অফিস ঘরে তালা লাগানো দেখে তাঁরা বাড়িওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাড়িওয়ালা তাঁদের জানিয়ে দেন, প্রতারণার বিন্দুবিসর্গও তিনি জানেন না।

Fraud Job Police Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy