Advertisement
E-Paper

জঞ্জাল থেকে মুক্তি নেই  পুর ভবনের

কলকাতাস পুরসভার ভিতরে পড়ে থাকা জঞ্জাল থেকে আগুন লেগেছিল কয়েক মাস আগেই। তার পরেও বাড়েনি সচেতনতা। পুর ভবনের মধ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে আবর্জনার স্তূপ। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ০৩:০১
পুর ভবনে এ ভাবেই জমছে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র

পুর ভবনে এ ভাবেই জমছে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র

কলকাতাস পুরসভার ভিতরে পড়ে থাকা জঞ্জাল থেকে আগুন লেগেছিল কয়েক মাস আগেই। তার পরেও বাড়েনি সচেতনতা। পুর ভবনের মধ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে আবর্জনার স্তূপ।

পুরসভার জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র নেওয়ার অফিসের সামনে বহু দিন ধরেই ডাঁই করা হচ্ছে পুরনো ও বাতিল করা জিনিসপত্র। ভাঙা চেয়ার-টেবিল, ফোমের গদি, লোহালক্কর থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, পুরনো কম্পিউটার, মনিটর— কী নেই সেখানে! মাস কয়েক আগে পুর ভবনে ওই জঞ্জালেই আগুন লেগেছিল। কিন্তু অফিসের ব্যস্ত সময়ের আগেই আগুন লাগায় আতঙ্ক সে ভাবে ছড়ায়নি। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সে সময়েই পুর কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন পুর কর্মীদের। পুর ভবনে যাতে আর আবর্জনা জমানো না হয়, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাই সার। বৃহস্পতিবারও পুর ভবনের ওই চত্বরে ফের চোখে পড়ল সেই একই দৃশ্য। সতর্কতার পরেও এখনও জমা হচ্ছে আবর্জনা।

পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘শুধু আগুন লাগতে পারে তাই নয়। এখন প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে। জল জমছে প্রতিটি পাত্রে। তাতে মশার বংশবৃদ্ধিও হচ্ছে।’’ প্রশ্নও উঠছে, শহর জুড়ে পুরসভার কর্মীরা মশা নিধনে জঞ্জাল সরাতে অভিযান করছে। অথচ খোদ পুর ভবন চত্বরেই অস্বাস্থ্যকর ভাবে জঞ্জাল জমানো হচ্ছে কেন? কেন পুর কর্তারা এ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? একাধিক পুর কর্মীরা জানাচ্ছেন, বারণ থাকলেও তাতে আমল দিচ্ছেন না কেউই। ফলে পুরসভার বিভিন্ন দফতরের ভাঙাচোরা অকেজো জিনিস এবং মেশিন অনবরত ওই জায়গায় ফেলে রেখে যাওয়া হচ্ছে।

পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার আবার দায় চাপাচ্ছেন কেয়ারটেকার দফতরের উপরে। তাঁর দাবি, পুর ভবনে কোথায় কী জমছে তা দেখার কাজ ওই দফতরের। যদিও কেয়ারটেকার দফতরের এক কর্মী বলছেন, ‘‘কোনটা কোথায় ফেলতে হবে, তা-ও শিখিয়ে দিতে হবে? এটা যে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নয়, যারা মালগুলো ফেলছেন, তারা জানেন না? পুর ভবনকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব সকলেরই।’’

আপাতত পুর আধিকারিকেরা একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাতেই ব্যস্ত। ফলে ফের আগুন লাগার আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছেন অনেকেই।

Garbage KMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy