সর্বত্র একই হাল। বাগুইআটি বাহাদুর বাগান
পরিস্থিতির বদল ঘটেনি এতটুকুও। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের পরেও বেশ কিছু দিন বিধাননগর, দক্ষিণ দমদমের বিভিন্ন পুকুরে প্রতিমার কাঠামো-সহ অন্যান্য বর্জ্য ভাসতে দেখা গিয়েছিল। একই ছবি কালীপুজোর পরেও। পাঁচ দিন আগে কালীপুজোর ভাসান হয়ে গিয়েছে। অথচ এখনও অনেক জায়গায় ঠিক মতো পরিষ্কার হয়নি পুকুর। জলে ভাসছে প্রতিমার কাঠামো, আবর্জনা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমনিতেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুকুরের জল দূষিত হয়। তার উপরে দিনের পর দিন প্রতিমা, পুজোর বর্জ্য পুকুরের পড়ে সেই দূষণ আরও বাড়ছে। স্থানীয়েরা জানান, প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য কোনও কোনও পুকুর নির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকলেও কমবেশি সব পুকুরেই বিসর্জন হয়। যে কারণে পাড়ার ভিতরের অনেক পুকুরের হালই পুর-কর্তাদের চোখে পড়ে না।
আবাসিকদের সেই দাবির যথার্থতা পাওয়া গেল বাগুইআটির রবীন্দ্রপল্লি, রেলপুকুর, দমদম হেল্থ-এর মাঠ, ২ নম্বর রেলগেট এলাকা, দক্ষিণ দমদমের হনুমান মন্দির, দাগা কলোনির মতো এলাকায়। যেখানে পুকুরে এখনও পড়ে রয়েছে কাঠামো। জলে ভাসছে ফুল, মালা-সহ পুজোর নানা সামগ্রী।
দমদম দাগা কলোনি। শনিবার।
ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
এক সময়ে পানা পরিষ্কার করে ওয়াটার পোলো খেলা চালু হয়েছিল বাগুইআটির রবীন্দ্রপল্লির বাহাদুর বাগানের পুকুরটিতে। শনিবার সেখানেও কাঠামো, আবর্জনা ভাসতে দেখা যায়। বাগুইআটির রেলপুকুরেও পড়ে কাঠামো। সেখানে আবার মাছের চাষও হয়। কাঠামো পড়ে রয়েছে দক্ষিণ দমদম এলাকার হেল্থ-এর মাঠ, ২ নম্বর রেলগেট, দমদম রোড, দাগা কলোনির মতো নানা পুকুরেও। পুকুরের কোনায় কোনায় জমে রয়েছে আবর্জনা, ভাসছে প্লাস্টিকও।
যদিও দুই পুরসভারই দাবি, কয়েক দিনের মধ্যেই ওই সব পুকুর পরিষ্কার হয়ে যাবে। বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র পারিষদ (নিকাশি) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘সমগ্র রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় অজস্র পুকুর রয়েছে। অনেক পুকুর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। যেগুলিতে আবর্জনা পড়ে রয়েছে, দু-তিন দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে সেগুলি।’’
দমদম ক্যান্টনমেন্টের হেল্থ গ্রাউন্ডের পুকুর
প্রায় একই কথা দক্ষিণ দমদমের চেয়ারম্যান পারিষদ (নিকাশি) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তিনি বলেন, ‘‘অধিকাংশ পুকুরই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির জন্য দু’দিন ঠিক মতো কাজ করা যায়নি। তাই কয়েকটি পুকুর বাকি রয়ে গিয়েছে। সেগুলিও পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।’’
তবে এর পরেই তো ছট। তাই আপাতত সহজে পাড়ার পুকুরের আবর্জনা-মুক্তি ঘটবে না বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy