Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘প্রতারিত’ জার্মান মহিলা কাল শহরে

সিআইডি সূত্রের খবর, নিউটাউনে বসে একটি সংস্থা সাইবার জালিয়াতি করে জার্মানির নাগরিকদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছে। জার্মান সরকার মারফত সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সেই মামলার সূত্রেই অভিযোগকারী এক মহিলা জার্মানি থেকে কলকাতায় আসছেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন জার্মান সরকারের এক কৌঁসুলি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১২
Share: Save:

সাইবার প্রতারণা মামলায় এ বার শহরের আদালতে হাজির হবেন এক জার্মান নাগরিক। তবে অভিযুক্ত হিসেবে নয়, অভিযোগকারী হিসেবে।

সিআইডি সূত্রের খবর, নিউটাউনে বসে একটি সংস্থা সাইবার জালিয়াতি করে জার্মানির নাগরিকদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছে। জার্মান সরকার মারফত সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সেই মামলার সূত্রেই অভিযোগকারী এক মহিলা জার্মানি থেকে কলকাতায় আসছেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন জার্মান সরকারের এক কৌঁসুলি। সোমবার ভবানী ভবনে এডিজি (সিআইডি) রাজেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। দুপুরে বিধাননগর আদালতে হাজিরা দেবেন।

সিআইডি সূত্রের খবর, নিউ টাউন থেকে জার্মানি-সহ একাধিক দেশে ফোন করত অভিযুক্তেরা। একটি প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নাম করে পরিষেবা দেওয়ার কথা বলে বিদেশি মুদ্রা হাতিয়ে নিত। জার্মানি থেকে এই ধরনের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। জুন মাসে নিউটাউনের ওই অফিসে হানা দিয়ে মূল অভিযুক্ত রিচা পিপলবা-সহ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন।

গোয়েন্দারা বলছেন, এই ধরনের প্রতারণা-চক্র শহরে আরও রয়েছে। গত বছর একই অভিযোগে সেক্টর ফাইভের একটি সংস্থা থেকে কয়েক জনকে পাকড়াও করা হয়েছিল। তখন রিচার নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু পুলিশের একাংশের গাফিলতিতে তাঁকে পাকড়াও করা যায়নি বলে অভিযোগ। জার্মানির ঘটনায় রিচা-সহ কয়েক জন গ্রেফতার হওয়ার পরে কলকাতাতে এখন একাধিক চক্রের হদিস পেয়েছে লালবাজার। কিছু ক্ষেত্রে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

তদন্তকারীরা বলছেন, পরিষেবা দেওয়ার নামে অভিযুক্তেরা বিদেশি নাগরিকদের কম্পিউটার কব্জা করে নিত। তার পর গোলমাল পাকিয়ে আতঙ্কিত করত ওই নাগরিকদের। সেগুলি সারানোর বদলে বিদেশি মুদ্রা নেওয়া হতো। রিচাদের ঘটনায় লন্ডনের অ্যাকাউন্ট ঘুরে বিদেশি মুদ্রা মধ্যমগ্রামের এক দম্পতির অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল। ওই দম্পতির মেয়ে রিচাদের সংস্থার কর্মী। সেই দম্পতি কমিশনের বিনিময়ে অর্থ রিচাদের কাছে পাঠাতেন বলে পুলিশের অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE