—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কলকাতা শহরে রাস্তার পরিমাণ কম (প্রায় ৫ শতাংশ) বলেই তার দক্ষ এবং সচেতন ব্যবহার জরুরি। শহরের ভিড়ে ঠাসা রাস্তায় ছোট গাড়ি ব্যবহারের তাৎক্ষণিক সুবিধা মিললেও তা কখনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তাই রাস্তার পরিসরের সুষ্ঠু ব্যবহার দরকার। এমনটাই মনে করেন জার্মানির ফেডারেল রেলের বিশেষজ্ঞ মার্টিন স্নেইডার। কলকাতার পরিবহণ, বিশেষত ট্রাম নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০৬ সালে প্রথম এই শহরে এসেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের কলকাতায় এসেছেন মার্টিন।
ট্রাম তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মার্টিনের মত, সরকারি পরিবহণ নীতি এমন হওয়া উচিত নয়, যাতে বেশি মানুষ যথেচ্ছ ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। তেমনটা হলে রাস্তার পরিসর অচিরেই আরও কমবে বলে আশঙ্কা তাঁর। যানজটের সমস্যার কারণে ছোট গাড়ি ছাড়াও অটো ও বাইকের ব্যবহার বাড়ছে বলে মনে করেন পরিবহণ ক্ষেত্রের অনেকেই। এর জেরে দূষণও বাড়ছে বলে মনে করেন তাঁরা। মার্টিনের মতে, উন্নত এবং কম খরচের গণপরিবহণ ব্যবস্থাই ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমাতে পারে।
পাশাপাশি, কলকাতায় ট্রামের অবলুপ্তির পিছনে সরকারি পরিকল্পনার ফাঁক-ফোকরকেই দুষছেন মার্টিন। তাঁর মতে, উপযুক্ত পরিকল্পনা করলে ইউরোপের বহু শহরের মতো কলকাতায় ট্রাম কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। কারণ, ট্রামে একসঙ্গে কয়েকশো যাত্রী যেতে পারেন। তবে তার জন্য শহরের অন্যান্য গণপরিবহণ ব্যবস্থার (মেট্রো, ট্রেন, ফেরি, বাস) সঙ্গে এর সমন্বয় খুব জরুরি। যা বর্তমানে নেই। এ ছাড়া, পরিষেবায় সময়ানুবর্তিতাও প্রয়োজন। কলকাতার বাস্তবতা মাথায় রেখেই প্রযুক্তি এবং পরিকাঠামোর সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। ট্রামের সমস্যার পিছনে রাস্তায় যথেচ্ছ গাড়ি পার্ক করে রাখার কথাও উল্লেখ করেন। ইউরোপের বহু দেশে ট্রামের রাস্তায় গাড়ি পার্ক করে রাখলে ভারতীয় মুদ্রায় ৩০ হাজার টাকারও বেশি জরিমানা দিতে হয়। ইউরোপের নানা বড় শহরের মতো কলকাতার কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক এলাকায় পার্কিং সংক্রান্ত নিয়ম আরও কঠোর হওয়া উচিত বলেও মনে করেন মার্টিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy