প্রতীকী চিত্র।
মালগাড়ির নীচ দিয়ে রেললাইন পারাপারের সময়ে চার বছরের এক শিশুকন্যার কাটা পড়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধুন্ধুমার হল শিয়ালদহ-বজবজ শাখার ব্রেস ব্রিজ স্টেশনে।
রাত ৮টা নাগাদ দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ ওই স্টেশনে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার ও কমার্শিয়াল পোর্টারকেও মারধর করা হয় বলে খবর। দু’জনেই শিয়ালদহের বি আর সিংহ হাসপাতালে ভর্তি। কমার্শিয়াল পোর্টারের আঘাত গুরুতর। স্টেশন মাস্টারের ঘর ছাড়াও ভাঙচুর করা হয় টিকিট কাউন্টার সংলগ্ন এলাকা। একটি স্কুটার ও কয়েকটি সাইকেলও ভাঙচুর করে উন্মত্ত জনতা।
ঘটনার সূত্রপাত রাত ৮টা নাগাদ। স্থানীয় ইন্দিরা পল্লির বাসিন্দা, বছর চারেকের আরিজা খাতুন তার মায়ের সঙ্গে রেললাইন পেরিয়ে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময়ে শিশুটি দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির নীচে ঢুকতেই তা আচমকা গড়াতে শুরু করে বলে অভিযোগ। দুর্ঘটনার পরে শিশুটিকে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাজারখানেক লোক আচমকা স্টেশনে চড়াও হয় বলে দাবি। মালগাড়ির জন্য কেন সিগন্যালিং ব্যবস্থা নেই, এই অভিযোগ তুলে স্টেশনে ভাঙচুর শুরু করে তারা। কাছাকাছি থাকা স্কুটার, সাইকেল ছাড়াও দু’টি স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় বজবজগামী একটি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনও আধ ঘণ্টার জন্য স্টেশনে আটকে পড়ে। বালিগঞ্জ জিআরপি ও তারাতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে রেলের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। রেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে দুঃখজনক বললেও বিশদে মন্তব্য করতে চাননি। ওই স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ থাকলেও অনেকেই তা ব্যবহার করেন না বলে অভিযোগ। কোন পরিস্থিতিতে এবং কেন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওই শিশুটির মা মালগাড়ির নীচ দিয়ে লাইন পারাপারের কথা ভাবলেন, সেই প্রশ্নও উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy