নিজস্ব চিত্র।
আগেও একাধিক করেছেন। শনিবারও সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালকে ফের আক্রমণ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তুললেন প্রাক্তন রাজ্যপালদের প্রসঙ্গও। রাজ্যপালকে তিনি ‘বোদ্ধা’ এবং ‘বিরোধী দলনেতা’ বলেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন পার্থ।
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘‘রাজ্যপালের মতো বোদ্ধা মানুষ আমি খুব কম দেখেছি। সব বিষয়ে উনি কথা বলছেন। তিনি বড় বাড়িতে থাকছেন, আবার বিরোধী নেতার মতোও আচরণ করছেন। বিজেপি নেতারা যেমন অসত্য বলে বেড়াচ্ছেন, তিনিও তেমনই। উনি বিজেপি নেতৃত্বের কাছে আবেদন করুন, যাতে তাঁকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করে দেওয়া হয়।’
এই প্রসঙ্গে পার্থ তুলে ধরেছেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপালদের কথাও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল পদে গোপালকৃষ্ণ গাঁধীকে দেখেছি। তিনি কত মেপে কথা বলতেন। আগেও অনেকে এসেছেন। রাজ্যপাল হয়েছেন। আমি যখন রাজনীতি করতাম না, সেই সময় খবরের কাগজ পড়ে রাজ্যপালদের আচরণ প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু এমন আচরণ দেখিনি।’’
এর পরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ ওঠে ওই সাংবাদিক বৈঠকে। তাঁর সঙ্গে বৈঠক হলেও রাজীবের অবস্থান যেন স্পষ্ট হচ্ছে না। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজীব অবশ্যই দলের সঙ্গে রয়েছেন। কেন বার বার তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করে খবর তৈরির চেষ্টা হচ্ছে? তিনি নিজেও বলেছেন, দলেই আছেন। যে দিন ও দলে থাকবেন না, সে দিন প্রশ্ন করবেন।’’
পার্থর বৈঠকে উঠেছে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই নন্দীগ্রামের আন্দোলন হয়েছিল। পার্থর কথায়, ‘‘যাঁরা এখন বুক ফুলিয়ে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্য কৃতিত্ব দাবি করছেন। তাঁদের নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। কারণ যাঁরা আন্দোলন করেন, লড়াই করেন তাঁরা কৃতিত্ব দাবি করেন না। ২৬ দিন অনশনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও, নন্দীগ্রামে আন্দোলন করেছিলেন। তিনি কোনও কৃতিত্ব দাবি করেননি।’’
সাংবাদিক বৈঠক থেকে চলতি বঙ্গধ্বনি যাত্রার কর্মসূচিও ঘোষণা করেন পার্থ। তিনি জানান, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর বঙ্গধ্বনি যাত্রা করবে তুণমূল। ২৮ ডিসেম্বর বিধানসভায় বিধায়করা বঙ্গধ্বনির ধন্যবাদ যাত্রা করবেন। যেখানে বিধায়ক নেই সেখানে সেই বিধানসভার দায়িত্বে থাকা নেতারা করবেন। ২৯ তারিখে জেলা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি সংগঠিত করবেন বলে জানান পার্থ।
আরও পড়ুন: সুনীলের গাড়িতে ‘হামলা’, শাহকে চিঠি, ফোনেও কথা বললেন কৈলাস
আরও পড়ুন: শুভেন্দু আসার আগে হেস্টিংসে গোলমাল, বিক্ষোভ তৃণমূলের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy