Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
ভলভো

এক মাসেই বন্ধ নতুন পরিষেবা

বাস স্ট্যান্ডে আর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার দরকার নেই। এসএমএস করলেই জানা যাবে বাসটি কত দূরে রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এ শহরেও শুরু হয়েছিল ভূতল পরিবহণের এসি ভলভো বাসে জিপিএস পরিষেবা। কিন্তু মাসখানেকেই তা বন্ধ। ফের কবে চালু হবে, উত্তর নেই কারও কাছে। বাসে জিপিএস পরিষেবা দেশের বড় কিছু শহরে আছে। মুম্বই, বেঙ্গালুরুর যাত্রীরা বহু দিন ধরেই এই পরিষেবা পান।

আর্যভট্ট খান
শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৩১
Share: Save:

বাস স্ট্যান্ডে আর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার দরকার নেই। এসএমএস করলেই জানা যাবে বাসটি কত দূরে রয়েছে।

যাত্রীদের সুবিধার্থে এ শহরেও শুরু হয়েছিল ভূতল পরিবহণের এসি ভলভো বাসে জিপিএস পরিষেবা। কিন্তু মাসখানেকেই তা বন্ধ। ফের কবে চালু হবে, উত্তর নেই কারও কাছে।

বাসে জিপিএস পরিষেবা দেশের বড় কিছু শহরে আছে। মুম্বই, বেঙ্গালুরুর যাত্রীরা বহু দিন ধরেই এই পরিষেবা পান। ভূতল পরিবহণের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য বলেন, “মুম্বই-বেঙ্গালুরুতে এই পরিষেবা দেখেই পরিকল্পনা করি কলকাতায় এই পরিষেবা চালু করার। তাই পরীক্ষামূলক ভাবে পরিষেবা চালু করা হয়েছিল।”

চলতি বছরের মার্চে জিপিএস পরিষেবা চালুও হয়ে যায় কলকাতার ভলভোয়। এসএমএস করলেই যাত্রী জানতে পারতেন বাস ঠিক কোন জায়গায় আছে। শুধু একটি বাসই নয়, শহরের ঠিক কোন জায়গায় কী কী ভলভো বাস রুট চালু আছে, কোন কোন স্টপে বাসগুলো থামবে, ক’টা নাগাদ কোনও স্টপে বাস আসবে জানা যেত সব।

পরীক্ষামূলক ভাবে পরিষেবা চালু হতেই তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এক নিত্য যাত্রী বাগুইআটির অনিন্দ্য চৌধুরী বলেন, “এই পরিষেবা চালু হওয়ায় আমি বাড়ি থেকে এসএমএস করতাম ধর্মতলাগামী বাস বিমানবন্দর ছেড়ে কোথায় আছে। সেই অনুযায়ীই বেরোতাম। বাস স্ট্যান্ডে সময় নষ্ট হত না।” আর এক ভলভো-যাত্রী বলেন, “অফিস থেকে বেরোনোর সময়েও নির্দিষ্ট নম্বরে এসএমএস করে জানতাম ঠিক ক’টা নাগাদ বাস আছে।”

ভূতল পরিবহণের কর্তারা জানাচ্ছেন, বেশ প্রস্তুতি নিয়েই এই পরিষেবা চালু হয়েছিল। কোন নম্বরে কী ভাবে এসএমএস করতে হবে, তা বিস্তারিত জানিয়ে সংস্থা দ্বারা প্রচার করা লিফলেট ও পোস্টারে। যে সব যাত্রীরা এসি ভলভোতে চাপছিলেন, তাঁরাই লিফলেট পেয়েছেন। বাসে লাগানো পোস্টার দেখেছেন। কোনও কোনও বাস স্ট্যান্ডেও পোস্টার লাগানোর ব্যবস্থা হয়েছিল।

নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন, এখন আর এসএমএস করলে উত্তর আসছে না। ফের কবে পরিষেবা চালু হবে, উত্তর দিতে পারেননি ভূতল পরিবহণের কর্তারাও। নীলাঞ্জনবাবু বলেন, পাইলট প্রোজেক্টের পরে এই জিপিএস পরিষেবা স্থায়ী ভাবে চালু করতে পরিবহণ দফতরের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে।” ভূতল পরিবহণের কর্তারা জানান, বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল উত্তর আসেনি। পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এক বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে জিপিএস পরিষেবা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছিল। পুরোপুরি চালু করতে পরিকাঠামোর আরও উন্নতি দরকার। সেগুলোর পর্যালোচনা চলছে। সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে এই পরিষেবার জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে দ্রুতই পরিষেবা চালুর চেষ্টা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE