ছাড়ের সুযোগ নিতে এখনও ভিড়। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
এক দিন বন্ধ কাটিয়ে খুলেছে বড়বাজার। তবে জিএসটি জুজু-র ভয় কাটেনি। শনিবারও যেন বন্ধেরই রেশ চলল শহরের অন্যতম ব্যস্ত এই বাণিজ্য-চত্বরে। এ দিনও বড়বাজারের বিভিন্ন পট্টি ছিল কার্যত সুনসান।
তবে দিনভর জমাটি ব্যবসা চলল শহরের নানা প্রান্তের শপিং মলে। জিএসটি চালুর আগের দিনে শুক্রবার বন্ধ ছিল অধিকাংশ দোকানপাট। শেষ লগ্নের সেল হাত ছাড়া হয়ে গেল বলে আফশোস ছিল যাঁদের, শনিবার মন ভরে বাজার করলেন তাঁরা। কারণ, ‘জিএসটি ছাড়’ অধিকাংশ জায়গায় চলল এ দিনও।
দক্ষিণ কলকাতার এক শপিং মলে গিয়ে দেখা গেল, গত সপ্তাহের ছাড় বহাল। ছাড়ের কোনও বিজ্ঞাপন অবশ্য দেওয়া ছিল না কোথাও। কেনাকাটার শেষে হঠাৎ তিনটের দামে এক ডজন শার্ট পেয়ে তাই বেজায় খুশি সল্টলেকের অরিত্রিকা বসু। বলেন, ‘‘শুক্রবার জিএসটি ছাড়ের শেষ দিনে অনেক কেনাকাটা করব ভেবেছিলাম। কিন্তু বেশির ভাগ দোকান বন্ধ ছিল। ভাবলাম ছাড় ফসকে গেল। বিল দিতে গিয়ে দেখি আজও একই ছাড় দিচ্ছে।’’
আর একটি শপিং মলেও দেখা গেল, বিভিন্ন দোকানে দেদার ছা়ড় দেওয়া হচ্ছে। দোকানিরা জানালেন, পুরোনো জিনিস যত দিন না শেষ হচ্ছে, এই ছাড় চলবে। নতুন যে সব জিনিস আসবে, তার উপরে কোনও ছাড় থাকবে না। সেখানকার বিপণির কর্ণধার জানান, আরও কিছু দিন ছা়ড় দেওয়া হবে। তবে জুন মাসের মতো ব্যাপক হারে নয়।
আরও পড়ুন:কাশ্মীরে জিএসটি আগামী সপ্তাহে
একই ছবি দেখা গেল মধ্য কলকাতার আর একটি শপিং মলে। সপ্তাহান্তের ভিড় জমার চেনা ছবি সেখানেও। প্রসাধনী দ্রব্য থেকে ঘড়ি, ব্যাগে ব্যাপক ছাড়। তাই কেনাকাটা চলছে জমিয়ে। বন্ধুর জন্য ব্যাগ কিনতে ওই শপিং মলে হাজির হয়েছিলেন সুপর্ণা চক্রবর্তী। ব্যাগের দোকানে ছাড় পেয়ে বেজায় খুশি তিনি। সুপর্ণার কথায়, ‘‘গতকাল কিনব ভেবেছিলাম। কিন্তু সময় করতে পারিনি। ভেবেছিলাম ছাড়ে কেনাকাটা করা আর কপালে নেই। আজও ছাড় দেখে অনেক কিছু কিনে নিয়েছি।’’
জিএসটি চালু হওয়ার আগের দিন শহরের একাধিক শপিং মলে অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। তাই শেষবেলায় ছাড়ের বাজারে বাজিমাত করার পরিকল্পনা করে শুক্রবার যাঁরা শপিং মলে হাজির হয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশকেই খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহ শেষের ছুটির দিন যেন ভুলিয়ে দিল সব দুঃখ!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy