E-Paper

মেট্রোয় আত্মহত্যা রোখার বিতর্কের মধ্যেই যাত্রী-বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছে প্ল্যাটফর্মের গার্ডরেল

প্রায় চার ফুট উঁচু এবং ছ’ফুটের কাছাকাছি দীর্ঘ গার্ডরেলগুলি নির্দিষ্ট দূরত্বে যে ভাবে বসানো হয়েছে, তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বহু ট্রেনের দরজা গার্ডরেলের কাছে গিয়ে খুলছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:২০
কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের চিত্র।

কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের চিত্র। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ পথে পর পর আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মেট্রো কর্তৃপক্ষ কালীঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে গার্ডরেল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই স্টেশনের কবি সুভাষমুখী মেট্রোর লাইনে (ডাউন লাইন) একাধিক গার্ডরেল বসানোও হয়েছে। কিন্তু যে ভাবে সেগুলি বসানো হয়েছে, তাতে আত্মহত্যার ঘটনা কত দূর ঠেকানো যাবে, সেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এরই পাশাপাশি, এই ব্যবস্থা যাত্রীদের ট্রেন থেকে ওঠানামা করার ক্ষেত্রে কতটা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠেছে, শুরু হয়েছে সেই আলোচনাও। কারণ, প্রায় চার ফুট উঁচু এবং ছ’ফুটের কাছাকাছি দীর্ঘ গার্ডরেলগুলি নির্দিষ্ট দূরত্বে যে ভাবে বসানো হয়েছে, তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বহু ট্রেনের দরজা গার্ডরেলের কাছে গিয়ে খুলছে। এর ফলে যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামতে অথবা ট্রেনে উঠতে গিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে। বিশেষত, সকালে ও সন্ধ্যায় অফিসের ব্যস্ত সময়ে এই বিড়ম্বনা হচ্ছে বেশি।

ওই গার্ডরেলগুলি প্ল্যাটফর্মের সীমানাসূচক হলুদ লাইনের গা-ঘেঁষে বসানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই ব্যবস্থায় আত্মহত্যার ঘটনা ঠেকাতে গিয়ে যাত্রীদের ওঠানামার ক্ষেত্রে নতুন করে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হবে না তো? উল্লেখ্য, মেট্রো কর্তৃপক্ষ কালীঘাট স্টেশনের এক দিকের প্ল্যাটফর্মে মোট ৩১টি গার্ড রেল বসানোর কথা জানিয়েছেন।

কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ শাখায় এখন তিনটি সংস্থার তৈরি পৃথক পৃথক দৈর্ঘ্যের ট্রেন চলে। ওই সব ট্রেনের দরজার পরিসর ও অবস্থানের ক্ষেত্রেও পার্থক্য রয়েছে। মোটামুটি ১৮০ মিটার দীর্ঘ প্ল্যাটফর্মে আলাদা আলাদা মাপের ট্রেন চালকেরা তাঁদের সুবিধা অনুযায়ী সামনে এবং পিছনে জায়গা রেখে দাঁড় করাচ্ছেন। তাতে প্রায়ই যাত্রীদের ওঠানামা করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। উপরন্তু, ফাঁকা জায়গায় স্বয়ংক্রিয় গেট না থাকায় ওই গার্ডরেল বসানোর মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে বলে দাবি যাত্রীদের বড় অংশের।

মেট্রোর প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত এই ব্যবস্থাকে ‘খামখেয়ালি’ সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থায় গার্ডরেল বসিয়ে অর্থের অপচয় হয়েছে। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পুরো ব্যবস্থাটি পরীক্ষামূলক। যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Metro Rail metro kalighat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy