Advertisement
২৩ মে ২০২৪

পোষ্য রাখায় দম্পতিকে ‘প্রহার’

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সুবর্ণময়বাবুর অভিযোগ, ফ্ল্যাট কেনার কয়েক মাসের মধ্যেই কুকুর নিয়ে আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ঝামেলা শুরু করেন। প্রতীকী ছবি।

সুবর্ণময়বাবুর অভিযোগ, ফ্ল্যাট কেনার কয়েক মাসের মধ্যেই কুকুর নিয়ে আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ঝামেলা শুরু করেন। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৪২
Share: Save:

বাড়িতে পোষ্য রাখার ‘অপরাধে’ এক ব্যক্তি এবং তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরে দুই পোষ্যকে বন্ধুর বাড়িতে রেখে নিজেরা কার্যত বাড়িছাড়া বলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দাবি করেছেন হরিদেবপুরের মতিলাল গুপ্ত রোডের এক বাসিন্দা। সঙ্গে দু’টি পোষ্যের ছবিও তিনি পোস্ট করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও যে ব্যক্তি পোস্টটি দিয়েছেন, সেই সুবর্ণময় গোস্বামীর অভিযোগ, তিনি পুলিশের চোখের সামনেই প্রতিবেশীদের হাতে প্রহৃত হন। গত শনিবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে সুবর্ণবাবুর পোস্টটি ভাইরাল হয়। তাঁর অভিযোগ, জনা তিরিশেক লোক ফ্ল্যাটে চড়াও হয়ে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নীচে নামিয়ে মারধর করেন।

আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রীও। হামলাকারীদের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেশীরাও ছিলেন বলে অভিযোগ সুবর্ণবাবুর। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের দুই অফিসারের সামনেই আমায় মারধর করা হয়। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু আমায় কোনও মতে ফ্ল্যাটে ঢুকিয়ে দেয়। পরের দিনই শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে যাই। কুকুর দু’টি এক বন্ধুর বাড়িতে রেখে এসেছি।’’

রবিবার ফোনে তিনি জানান, গত মার্চে নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন। তাঁদের সঙ্গেই থাকে একটি সাইবেরিয়ান হাস্কি এবং একটি জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর। সুবর্ণময়বাবুর অভিযোগ, ফ্ল্যাট কেনার কয়েক মাসের মধ্যেই কুকুর নিয়ে আশপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা ঝামেলা শুরু করেন। সুবর্ণময়বাবুর বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবেশীরা হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ করেন। পাল্টা অভিযোগ করেন সুবর্ণময়বাবুরাও। পুলিশ জানায়, কাউকে কুকুর রাখতে মানা করতে পারে না পুলিশ। তবে কুকুরের মালিককেও দেখতে হবে যাতে কারও সমস্যা না হয়।

এ দিন সুবর্ণময়বাবুর এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘ওঁরা কুকুর ছেড়ে রাখেন। কুকুরগুলি ছাদে উঠে যায়। ফলে আমরা ছাদে যেতে পারি না। কুকুর নিয়ে পাড়ার লোকজনও ক্ষুব্ধ ছিলেন। তারাই মেরেছে।’’ যদিও প্রশ্ন, কুকুর ছেড়ে রাখা নিয়ে আবাসনের লোকজনের সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু আবাসনের বাইরের লোকজনকে কী ভাবে কুকুরগুলি বিরক্ত করত, তার কোনও ব্যাখ্যা সুবর্ণবাবুর ওই প্রতিবেশী দিতে পারেননি।

হরিদেবপুর থানার তদন্তকারী এক আধিকারিক জানান, কুকুর নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই ওই ঝামেলা চলছিল। পুলিশই সে দিন ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Haridevpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE